সিপিডির পর্যবেক্ষণ: প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী না আসার দায় ডিএসই সিএসইর

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশি-বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে আনার বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছে। কিন্তু এ বিষয়ে তেমন অগ্রগতি নেই। এর জন্য মূলত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) দায়ী বলে মনে করে স্বাধীন গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনের লক্ষ্যে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফে একথা জানায় সংস্থাটি।

আগামী বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এমন প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে আগের সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন হওয়া জরুরি। এর মধ্যে অন্যতম দেশি-বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারে আনা। এ ধরনের বিনিয়োগকারীদের বাজারে আনার বিষয়টি যতটা না সরকারের রাজস্ব নীতিমালার ওপর নির্ভর করে, তার চেয়ে বেশি নির্ভর করে ডিএসই ও সিএসইর নিজস্ব উদ্যোগের ওপর। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাজারে না আসার ব্যর্থতার দায় মূলত এসব প্রতিষ্ঠানের।

বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট (এফআরএ) দ্রুত কার্যকর করা উচিত বলে মনে করে সিপিডি। এ প্রসঙ্গে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আমাদের মনে হয়েছে এফআরএর বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। এজন্য একটি কমিশন গঠনের কথা রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন সে কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। তিনি বলেন, কমিশন গঠন করে সেটির মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব পরিষ্কার করা প্রয়োজন। সেটা করা না হলে কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে না।

তিনি বলেন, একজন বিনিয়োগকারী কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগের আগে পর্যবেক্ষণ করেন যে, ওই কোম্পানিটির অডিট ঠিকমতো করা হয়েছে কি না এবং কোন কোম্পানি অডিট করছে, সেটিও বিনিয়োগকারীরা খেয়াল করেন। এসব বিবেচনায় এফআরএ বাস্তবায়ন খুবই জরুরি।

সরকারের হাতে থাকা শেয়ার বাজারে ছাড়ার বিষয়ে গোলাম মেয়াজ্জেম বলেন, সরকারের হাতে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার বাজারে ছাড়ার বিষয়ে এর আগেও কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটির বাস্তবায়ন এখন পর্যন্ত দেখছি না। নীতিগতভাবে সরকারের মধ্যেই এখনও সিদ্ধান্তহীনতা রয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার কতটুকু বাজারে ছাড়া হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর যে পারফরম্যান্স লক্ষ্য করছি, তাতে আমাদের মনে হয়েছে এগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলার চেয়ে পুঁজিবাজারে আসার মাধ্যমে যদি বেসরকারি খাতের একটি ছোঁয়া পায়, তাহলে এর কিছু লক্ষণযোগ্য উন্নতি হবে।