চিটাগং ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভিএএসইউ) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্লেসমেন্ট বা ইন্টার্নশিপ বিষয়ে একটি ফিডব্যাক প্রোগ্রাম। গত বৃহস্পতিবার ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের চতুর্থ ও পঞ্চম ব্যাচের ছাত্রছাত্রীদের এই প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
ওই ফিডব্যাক অনুষ্ঠানে চিফ পেট্রোন ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন। উপাচার্য বলেন, খাদ্য বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা এক মাস মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, যা তাদের দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে উঠতে
সাহায্য করবে। এছাড়া তারা দেশের স্বনামধন্য অনেক খাদ্যশিল্প প্রতিষ্ঠানে হাতে-কলমে কাজ করেছে। আজকের শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে দেশের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখতে পারবে। তিনি আরও বলেন, খাদ্যশিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেলবন্ধন থাকতে হবে। খাদ্যশিল্প প্রতিষ্ঠান নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের উদ্যোগ নিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে। জেলা প্রশাসক বলেন, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিশেষায়িত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ব্যতিক্রমধর্মী বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে এটি দেশের মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে আনন্দদায়ক। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তোমাদের আগামী বাংলাদেশের হাল ধরতে হবে।
ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা. মো. রায়হান ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নুরুল আবছার খান, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর এম আবদুল হালিম ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর
ড. শারিমন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দীন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি গবেষক, বিভিন্ন খাদ্যশিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ও প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন। যেসব খাদ্যশিল্প প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা ইন্টার্ন কর্মসূচি সম্পন্ন করেছেন তাদের প্রতিনিধিদের হাতে সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা তাত্ত্বিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি ছয় মাস হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের মাঠপর্যায়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য যোগ্য করে তোলার সুযোগ পাচ্ছে।
সাইফ ইউ আলম