সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাভাবিক উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং বিক্রয় কার্যক্রম তিন মাসের জন্য বন্ধ ছিল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেডের। আর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম আবারও অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থাকবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আদেশ অনুযায়ী, পেট্রোবাংলা তার অধীন সব প্রাইভেট কনডেনসেট প্লান্টে কনডেনসেট সরবরাহ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত কোম্পানির কনডেনসেট সরবরাহ বন্ধ ছিল। গত ২৭ জুন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা আদেশ অনুসারে, জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরসহ পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না হওয়া পর্যন্ত কনডেনসেট সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। আর কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সভায় বলা হয়, কনডেনসেট সরবরাহ বন্ধ থাকলে এবং কোম্পানিটির বর্তমান স্টক বিক্রি শেষ হলে স্বাভাবিক উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং বিক্রয় কার্যক্রম উক্ত সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। আর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনও না আসায় কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থাকবে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১১৫ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১১৫ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ৪৮ হাজার ৩৩টি শেয়ার মাত্র ৪৬৮ বার হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৭৭ টাকা থেকে ১৪১ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৫৭ পয়সা। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ২৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ১৪ টাকা ৫৮ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৫ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ সাত কোটি ৮৮ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট দুই কোটি ৫২ লাখ ৪৫ হাজার শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২২ দশমিক ৬১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ২৮ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার।

এছাড়া সম্প্রতি কোম্পানিটি চলতি হিসাববছরের ৩১ মার্চ ২০২০ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে চার পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৭ পয়সা। আর ৯ মাসে বা প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০১৯-মার্চ, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩৭ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ২১ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০