আইফোনের একটি অ্যাপ সিরি। আইফোনের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করে এটি। ব্যবহারকারীর ভয়েস নির্দেশনা শনাক্ত করে সে অনুযায়ী কাজ করে এ সহকারী। দিনটি কেমন হবে, রোদ-বৃষ্টি হবে কি হবে না, তা নারী কণ্ঠে জানিয়ে দেয় সিরি। সঙ্গত কারণে বেশ জনপ্রিয় হয় অ্যাপটি। পরবর্তী সময়ে অ্যাপলের প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট তৈরিতে মনোযোগ দেয়।
এ ধারাবাহিকতায় মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্টানাকে সংযুক্ত করা হয়। সময়মতো ব্যবহারকারীকে দরকারি কাজের কথা মনে করিয়ে দেয় এ ডিজিটাল সহকারী কর্টানা। অ্যামাজন ইকো নামে একটি স্মার্ট সাউন্ড ডিভাইসে যোগ করা হয়েছে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যালেক্সা। অ্যামাজনের ডিজিটাল সহকারী অ্যালেক্সা। গুগল ও স্যামসাংও ভার্চুয়াল সহকারী সেবা চালু করেছে। এসব সহকারীর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকই বা কেন পিছিয়ে থাকবে? একটু দেরিতে হলেও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট চালু করেছে ফেসবুক। এর নাম রাখা হয়েছে ‘এম’। গত ৬ এপ্রিল এ সেবা উšে§াচন করা হয়। আপাতত এ সেবা নিতে পারবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। সুপারস্পাই জেমস বন্ড সিনেমার অন্যতম চরিত্র ‘মানিপেনি’র কোডনেম নিয়ে এর নাম রাখা হয়েছে ‘এম’।
২০১৫ সালে এ ধরনের ডিজিটাল সহকারী নিয়ে কাজ শুরু করে ফেসবুক। তখনই এর নাম ঠিক করা হয়। সে সময় ফেসবুক মেসেঞ্জারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড মারকাস জানিয়েছিলেন, ব্যবহারকারীর হয়ে প্রয়োজনীয় অনেক কাজ করে দেবে এম।
মূলত ফেসবুক মেসেঞ্জারের অংশ হিসেবে কাজ করবে এম। ফেসবুক মেসেঞ্জারকে স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছে ওই প্রতিষ্ঠান। এজন্য এ অ্যাপের সঙ্গে নতুন নতুন ফিচার যোগ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। মেসেঞ্জারের চ্যাট উইন্ডো চালু থাকা অবস্থায় ব্যবহারকারীকে নানা সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে এম। ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা বাড়াবে এ সেবা। ফেসবুকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
ব্যবহারকারীর কাজের শিডিউল, নানা সমস্যার সমাধান, প্রশ্নের উত্তর, অনলাইন বুকিং, কেনাকাটা, গিফট পাঠানো প্রভৃতি কাজে সহকারীর ভূমিকায় থাকবে এম। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মনে করে, অন্যান্য সেবার মতোই ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত নানা কাজ করে দেবে এম।
মজার বিষয়, সিরি, কর্টানা ও অ্যালেক্সার চেয়ে আলাদা এম। এখানে নানা প্রশ্নের উত্তর মেশিনের বদলে মানুষ দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Add Comment