নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের অনিরীক্ষিত প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২০) শেয়ারপ্রতি (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৩ পয়সা। প্রথম দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২০) ইপিএস হয়েছে ৪৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৪৮ পয়সা আর ৩০ জুন ২০২০ তারিখে ছিল ২১ টাকা ৬৪ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৩৮ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল এক টাকা।
এদিকে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮০ পয়সা, আর ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৬৪ পয়সা।
ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২০) শেয়ারপ্রতি (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯ পয়সা। প্রথম দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২০) ইপিএস হয়েছে ৫৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ২১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩৫ পয়সা আর ৩০ জুন ২০২০ তারিখে ছিল ১২ টাকা ৭৬ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৭ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ১১ পয়সা।
২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দুই শতাংশ নগদ (উদ্যোক্তা ব্যতীত) ও আট শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৭ পয়সা, আর ২০২০ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৭৬ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ছয় পয়সা।
এদিকে কোম্পানিটির প্রথম (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২০) প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৭ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল ১৩ পয়সা। আর ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১৬ পয়সা, যা ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে ১২ টাকা ৭৬ পয়সা। এই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই পয়সা অথচ আগের বছর একই সময় ছিল পাঁচ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ২০০ কোটি অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯২ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ২৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫৫টি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ১৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫০ দশমিক ৪৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
