Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 5:19 am

সিলেটের ২৩টির মধ্যে কাজে ফিরেছেন চার বাগানের শ্রমিক

শেয়ার বিজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় নেতাদের ১২০ টাকা মজুরিতে কাজে যোগদানের ঘোষণার পর সিলেট ও মৌলভীবাজারের অনেক বাগানে শ্রমিকরা কাজে ফিরলেও ফেরেননি সিলেটের ১৯ বাগানের শ্রমিকরা। সিলেটের ২৩টির মধ্যে লাক্কাতুরা, খাদিমনগর, ফতেহপুর ও জাফলং চা বাগানের শ্রমিকরা গতকাল সোমবার কাজে ফিরেছেন। বাকি শ্রমিকরা দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

গতকাল সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মালনিছড়া চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন চা শ্রমিকরা। আগের দিন রাতে মৌলভীবাজারে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে দৈনিক ১২০ মজুরিতে কাজে যোগদানের ঘোষণা আসে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে সাধারণ শ্রমিকরা বিভক্ত হয়ে পড়েন।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, ‘সিলেট ভ্যালির চারটি বাগানের শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। বাইরের কিছু রাজনৈতিক দলের ইন্ধনে কিছু চা শ্রমিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য আন্দোলন করার চেষ্টা করছেন। আশা করি প্রধানমন্ত্রী যেহেতু আশ্বাস দিয়েছেন আমাদের দাবি পূরণ হবে।’

সিলেটের ২৩টির মধ্যে লাক্কাতুরা, খাদিমনগর, ফতেহপুর ও জাফলং চা বাগানের শ্রমিকরা সোমবার দুপুরে কাজে ফিরেছেন। বাকি শ্রমিকরা দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মালনিছড়া চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন চা শ্রমিকরা।

আলীবাহার চা বাগানের শ্রমিক মিথিলা ফারজানা বলেন, ‘শ্রমিক নেতারা সাধারণ শ্রমিকদের মতামত না নিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। এটা আমরা মানি না। ৩০০ টাকা মজুরি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।’

দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলন করছেন চা শ্রমিকরা। প্রথম চার দিন দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। কিন্তু তাদের দাবির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ১৩ অগাস্ট থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেন। ১১ দিন পর গত ২০ অগাস্ট শ্রম অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকায় রাজি হয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। কিন্তু আন্দোলনকারী শ্রমিকদের একটি অংশ তা প্রত্যাখ্যান করে রোববার রাজপথে নামে।

এ প্রেক্ষাপটে রোববার রাতে আবার চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাহিদুল ইসলাম।