Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 12:08 am

সিলেটে আচরণবিধি লঙ্ঘন, দুই মেয়র প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সে ব্যাপারে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে সিলেট সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। পৃথক দুটি চিঠিতে তাদের বলা হয়, ৩০ মে প্রকাশিত পত্রিকার ‘আচরণবিধি লঙ্ঘন চলছেই, বন্ধে নেই পদক্ষেপ’ শিরোনামে প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, আপনি নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগ করেছেন।

প্রার্থীদের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য আচরণ বিধিমালার বিধি ৩২ অনুযায়ী প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা লিখিতভাবে প্রার্থীদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। রিটার্নিং কর্মকর্তা পত্রে তাদের বলেছেন, ‘আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে আপনি স্বয়ং, অথবা আপনার উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।’

সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ৫ উল্লেখ করে পত্রে আরও বলা হয়, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।

বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গতকাল মতবিনিময় করেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সচিত্র প্রতিবেদন থেকে দুই মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়েছে। তাই এ বিষয়ে প্রার্থীদের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

এর আগে নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলামকে (বাবুল) গত সোমবার নগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতীকসংবলিত প্রচারপত্র বিতরণ করে গণসংযোগ করতে দেখা গেছে। এ নিয়ে প্রথম আলোয় প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটিতে ইভিএমে ভোট হবে। এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ১ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। ২ জুন প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারবেন।