নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে ওঠে এসেছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি সি পার্ল বীচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ২ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৫৫ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনব্যাপী ২৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩০৪টি শেয়ার ৫ হাজার ২৮৭ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ১৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৬ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৮২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১২ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে ২ দশমিক ৫৭ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৪ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ০২ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ১৩ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় ২ টাকা ১১ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩ থেকে মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৮২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬ টাকা ৬৩ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস কমেছে দুই টাকা ৮১ পয়সা। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৬ টাকা ৮২ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮ টাকা ৩৫ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ১০ টাকা ২২ পয়সা।
২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৮১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৮২ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৮ টাকা ২৭ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭৭ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৪৮ পয়সা।
এদিকে সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ১৬ দশমিক ১৬ শতাংশ, সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ, সোনালি আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ, এসকে ট্রিমস লিমিটেডের ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেডের ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ, ওইমেক্স ইলেকেট্রোড লিমিটেডের ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।