সীমান্ত বাণিজ্যে ইউয়ানের ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্য চীনের

শেয়ার বিজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বা বিভিন্ন চুক্তিতে নিজস্ব মুদ্রার ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে চীন। ইতোমধ্যে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে ইউয়ানে (চীনের মুদ্রা) লেনদেনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। এবার সীমান্ত বাণিজ্যের লেনদেনের ক্ষেত্রে এবং চীনে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে ইউয়ানের ব্যবহারের উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটি। শুক্রবার এক বিবৃতিতে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংক অব চায়না (পিবিওসি) এমন ইঙ্গিত দিয়েছে। খবর রয়টার্স।

বিবৃতিতে বলা হয়, সুন্দর ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টি করতে এবং ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগকে সহজ করতে সীমান্ত বাণিজ্যে বা অন্য ক্ষেত্রে ইউয়ানের ব্যবহার সহযোগিতা করবে।

মূলত ২০০৯ সাল থেকেই আন্তর্জাতিকভাবে ইউয়ানের ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছে চীন। ২০১৬ সালে দেশটির মোট বাণিজ্যের ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে ইউয়ানে।

পিবিওসি জানিয়েছে, কোম্পানিগুলোকে ইউয়ানের মাধ্যমে বাণিজ্যচুক্তি সম্পন্নে সহযোগিতায় ব্যাংক উৎসাহী। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে বা মুনাফা প্রেরণে ইউয়ান ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে ব্যাংক। এছাড়া চীনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদেশি বন্ড ও শেয়ারের অর্থ হস্তান্তর এবং ইস্যুকরণেও ইউয়ানের ব্যবহারে অনুমতি দেবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের আওতায় বিদেশে কর্মরত চীনা শ্রমিকদের দেশে অর্থ পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও সহজ করবে বেইজিং।

গত বুধবার পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লেনদেনের জন্য চীনা মুদ্রা ব্যবহারের বিষয়ে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের অর্থ ও মুদ্রাবাজারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে আমদানি, রফতানি ও আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ইউয়ানের ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। পাকিস্তান শতকরা ২৮ ভাগ পণ্য চীন থেকে আমদানি করে থাকে।

চীন ইতোমধ্যে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ পরিকল্পনার আওতায় চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর (সিপিইসি) প্রকল্পে পাকিস্তানে ৫৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। নতুন সিল্ক রোড তৈরির পরিকল্পনা হিসেবে পরিচিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’-এর আওতায় এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার ৬০ দেশের মধ্যে সড়ক ও সমুদ্রপথে বাণিজ্যিক রুট তৈরি করা হচ্ছে।

কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তানের বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করছে দেশটির ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন। বিশেষ করে বেলুচিস্তানের গাদার বন্দরে ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে দেশটি। সেখানে অত্যাধুনিক বিমানবন্দর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, জ্বালানি পাইপলাইন, রেল ও সড়ক সংযোগ স্থাপনসহ বেশ কয়েকটি খাতে উল্লেখযোগ্য হারে বিনিয়োগ করছে বেইজিং। যদিও এ প্রকল্পের বিষয়ে ঘোর আপত্তির কথা জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত।

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০