নিজস্ব প্রতিবেদক: নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ছোবল পড়েছে বাংলাদেশে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য জনসমাগম কমিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সরকারি ছুটি ঘোষণা হলেও সীমিত আকারে ব্যাংক খোলা রাখা হবে। এ সময়ে ব্যাংকের পরিচালকদের উপস্থিতি-সংক্রান্ত সব সভা ও বৈঠক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গতকাল সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু থাকবে। জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটি চলাকালে সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমন ঘোষণার পরে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে। আজ এ-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
গতকালের দেওয়া অপর এক নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে, জনসমাগমের কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা বিবেচনায় ব্যাংকের পর্ষদ এবং পর্ষদের সহায়ক কমিটির সভায় ব্যাংকের পরিচালকদের সশরীরে উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ। এ প্রেক্ষাপটে এখন থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরিচালনা পর্ষদ, নির্বাহী কমিটি, অডিট কমিটি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সব সভা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তথা ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠানের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক পরিচালক যথানিয়মে তার সম্মানী পাবেন। তবে শর্ত থাকবে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব এবং বিশেষত এর কমিউনিটি ট্রান্সমিশন প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক-কোম্পানিগুলোকে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আরেকটি প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রশমিত না হওয়া পর্যন্ত ১০ জনের অধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অংশগ্রহণে চলমান সব প্রশিক্ষণ কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে। পাশাপাশি কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশনা দিতে হবে।