শেয়ার বিজ ডেস্ক: উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটোয় সুইডেনকে চায় তুরস্ক। দেশটির অন্তর্ভুক্তিতে সবুজ সংকেত দিয়েছে তুরস্ক। খবর: ডয়চে ভেলে।
তুরস্কের পার্লামেন্টে ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশন বা পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিশন গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে সবুজ সংকেত দেয়। দীর্ঘ ১৯ মাস পর দেশটি এই সবুজ সংকেত দিল।
এর মাধ্যমে ন্যাটোয় সুইডেনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তাদের যে আপত্তি ছিল, ১৯ মাস ধরে জলঘোলার পর অবশেষে তা মেনে নেয়া হলো। এরপর তুরস্কের পার্লামেন্ট চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিলেই সুইডেনের এই সামরিক জোটে যোগ দেয়া সম্ভব হবে।
অবশ্য সুইডেনের ন্যাটোয় যোগ দেয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টানাপড়েন চলছে। জোটের অন্য সদস্য দেশগুলো সুইডেনকে ছাড়পত্র দিলেও তুরস্ক দিতে রাজি হচ্ছিল না। তুরস্কের অভিযোগ ছিল, সুইডেন কুর্দি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়। তাদের সমর্থন করে।
ন্যাটো কুর্দিদের গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী বললেও সুইডেন নিজের দেশে তাদের সন্ত্রাসী বলে মনে করে না। এখানেই শেষ নয়। এরই মধ্যে সুইডেনে একাধিকবার পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। তুরস্ক তার তীব্র নিন্দা করেছে।
এই দুই বিষয় নিয়ে তুরস্ক বারবার সুইডেনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। ন্যাটো অবশ্য তুরস্কের সঙ্গে লাগাতার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত তুরস্কের পার্লামেন্ট কমিশন সবুজ সংকেত দিল।
নরডিক অঞ্চলের দেশ সুইডেন কয়েক দশক ধরে তাদের সামরিক নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছিল। কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করলে তখন দেশটি তার অবস্থান পাল্টে ফেলে। এতে তার সঙ্গী হয় ফিনল্যান্ড।
উত্তর ইউরোপে দীর্ঘসময় ধরে যে ধরনের স্থিতিশীলতা ছিল, ভøাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার পর তা ভেঙে গেছে। ফলে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের মতো দেশ মনে করছে, তাদের দেশের নিরাপত্তা বেশ নাজুক হয়ে পড়েছে। প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় মহাদেশে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ মনে করা হচ্ছে।