শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) ব্যাংকিং লেনদেনের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সুইফটে ‘অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ’ করেছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। হ্যাকারদের ফাঁস করা কিছু নথি বিশ্লেষণ করে এমন ইঙ্গিতের কথা জানিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা জানান, এনএসএ’র সদস্যরা সুইফটে প্রবেশ করে মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকায় অর্থপ্রবাহের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। খবর রয়টার্স।
বিভিন্ন ব্যাংকের সুইফট সিস্টেমে অবৈধ প্রবেশের তদন্তে সহায়তাকারী সাইবার নিরাপত্তা পরামর্শক শেন শোক রয়টার্সকে বলেন, ফাঁস হওয়া নথি ও তথ্যের মধ্যে কম্পিউটার কোড রয়েছে, সুইফট সার্ভারে ঢুকে মেসেজিং কার্যক্রম নজরদারির জন্য সেগুলো অপরাধীরা ব্যবহার করে থাকতে পারে।
‘শ্যাডো ব্রোকার্স’ নামে পরিচয় দেওয়া হ্যাকারদের একটি গ্রুপের ফাঁস করা এসব নথি ও তথ্যের বেশ কিছুতে এনএসএ’র সিল রয়েছে। রয়টার্স বলছে, এনএসএ’র সিলের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি তারা। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এ গোয়েন্দা সংস্থার বক্তব্যও তারা পায়নি। সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন (সুইফট) হচ্ছে আন্তর্জাতিক লেনদেনের মাধ্যম। সারা বিশ্বের কেন্দ্রীয় ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এর সদস্য। এক দেশ থেকে আরেক দেশে সুইফটের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর হয়ে থাকে। এজন্য সুইফট প্রত্যেকটি সদস্যকে একটি নির্দিষ্ট কোড ও সিস্টেম ব্যবহারের জন্য গোপন নম্বর (পিন) দিয়ে থাকে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে সুইফট বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের কয়েকটি ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে সরিয়ে নেওয়া হয়। কারা সাইবার হামলা চালিয়ে বাংলাদেশের রিজার্ভের ওই অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিল সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা মেলেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সম্প্রতি ওই সাইবার হামলার জন্য উত্তর কোরিয়ার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশেষজ্ঞ শোক বলছেন, শুক্রবার যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করে অপরাধীরা বিভিন্ন ব্যাংক হ্যাক এবং অর্থ চুরি করতে পারে, যেভাবে গত বছর বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছিল।