নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। গতকাল বেলা ৩টায় জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর আগে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে বিশেষ বৈঠকে মন্ত্রিসভা নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেয়।
এটি দেশের ৫০তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর তৃতীয় বাজেট। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে কভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনীতি মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ শিরোনামের এবারের বাজেট পেশ হচ্ছে। ঘোষিত বাজেটে সুকুক বন্ড যা ইসলামি বন্ড হিসেবে স্বীকৃত, এটিকে কর অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজেট ঘোষণায় বলা হয়, উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদি পুঁজি সংগ্রহে ব্যাংকের বিকল্প হিসেবে সরকার শক্তিশালী বন্ড মার্কেট বিকাশে নীতি সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নীতির অংশ হিসেবে সুকুক বা ইসলামি বন্ডের সহজ প্রচলন ও বাজার শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ট্রাস্ট বা স্পেশাল পারপাস ভেহিকলের কাছে অথবা ট্রাস্ট বা স্পেশাল পারপাস ভেহিকল কর্তৃক, সম্পত্তি হস্তান্তরের সময়, উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মূলধনি কর পরিশোধ থেকে অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাব সংসদে গৃহীত হলে দীর্ঘমেয়াদি পুঁজি সংগ্রহ হবে এবং ব্যাংক নির্ভরতা হ্রাস পাবে। একই সঙ্গে বন্ড মার্কেট উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে, যা অবকাঠামো ও পুঁজিঘন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
এর আগে শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি বন্ড সুকুকের মাধ্যমে নানা প্রকল্পের জন্য টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করে সরকার। এরই মধ্যে এ বন্ডে বিনিয়োগও শুরু হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ‘সুকুক’কে জনপ্রিয় করার উদ্যোগ থাকছে বলে ধারণা দেয়া হয়।
নতুন বাজেটে ইসলামি বন্ড ‘সুকুক’ সম্পর্কে জনসাধারণকে আকৃষ্ট করতে এর মুনাফায় কর অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ৪ মার্চ এনবিআরকে এ বিষয়ে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
