নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবোঝাই লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। ঝালকাঠি সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান জানান, গতকাল সকালে পোনাবালিয়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ জাহাঙ্গীর হোসেন এ মামলা করেন।
ঢাকা থেকে বরগুনার বেতাগী রওনা হওয়া লঞ্চটিতে গত শুক্রবার ভোরে ঝালকাঠির সুগন্ধায় আগুন লাগে। এতে অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইঞ্জিন রুম থেকে লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে ৩৩ জনের লাশ বরগুনায় দাফন করা হয়েছে।
এ ঘটনা তদন্তে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির সদস্যরা গতকাল সকালে আগুনে পুড়ে যাওয়া অভিযান-১০ লঞ্চ পরিদর্শনে যান। তিনতলা লঞ্চটি এখন ঝালকাঠির দিয়াকুল এলাকায় সুগন্ধার তীরে ভেড়ানো রয়েছে।
এদিকে ঝালকাঠি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি লঞ্চের অগ্নিকা-ের ঘটনায় নিখোঁজ ৫১ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে বলে ডিসি মো. জোহর আলী জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আপাতত একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকা বরগুনা জেলা প্রশাসন তৈরি করবে।’
এদিকে ঝালকাঠিতে যাত্রীবোঝাই লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। তদন্ত কমিটির সদস্য ঝালকাঠির অতিরিক্ত ডিসি (রাজস্ব) মো. নাজমুল আলম বলেন, ‘শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমরা পরিদর্শন করেছি। ইঞ্জিনরুমসহ পুরো লঞ্চটি দেখা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছি।’
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বন্দর) মো. তোফায়েল ইসলামকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেনÑবরিশাল অঞ্চলের পুলিশ সুপার (নৌ পুলিশ) মো. কফিল উদ্দিন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার তাইফুর আহম্মেদ ভূঁইয়া, ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাপ) সংস্থার পরিচালক মামুন-অর-রশিদ ও বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
