শেয়ার বিজ ডেস্ক: সেনা অভ্যুত্থানের পর জারি করা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করেছে সুদানের সামরিক সরকার। স্থানীয় সময় গত রোববার দেশটির নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদ জানায়, জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর: রয়টার্স।
আলোচনার সঠিক পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার।
গত বছর অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থান হয় সুদানে। ২৫ অক্টোবর দেশটির শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করা হয়। এরপর ক্ষমতা দখল করেন জেনারেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদককে গৃহবন্দি ও বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন জেনারেল আবদেল। পরে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদক স্বপদে বহাল হন।
অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন হজার হাজার মানুষ। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে দেশটিতে এ পর্যন্ত একশ’র মতো মানুষ মারা গেছেন। অনেককে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিন্দা জানান বিশ্বনেতারা। দেশটিতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সরব হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।
প্রসঙ্গত, সুদানে তিন দশক ধরে প্রেসিডেন্ট ছিলেন ওমর আল-বশির। ২০১৯ সালে তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর ক্ষমতা ভাগাভাগি করে দেশ পরিচালনা করছিল সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক সরকার। চলতি বছর জানুয়ারিতে
সেনাবাহিনীর সঙ্গে এক বিতর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ক্ষমতায় পুনর্বহালের মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর ফের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সম্পূর্ণ বেসামরিক শাসনের দাবিতে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করেন। তার পদত্যাগের দিন রাজধানী খার্তুমে দিনভর বিক্ষোভ হয় এবং চিকিৎসকরা জানান, এতে কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা জানান, তারা সামরিক
সরকারকে বিশ্বাস করেন না। প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনের পরিকল্পনার মাধ্যমে সুদান এখনও বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ।