শেয়ার বিজ ডেস্ক: সুদানে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের প্রতিবাদে বিক্ষোভরত জনতার ওপর সৈন্যরা গুলি চালিয়েছে। এতে অন্তত সাতজন নিহত ও আরও ১৪০ জন আহত হয়েছেন। খবর: বিবিসি, আল জাজিরা।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সোমবার রাতে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে সাতজন নিহত ও ১৪০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সকালে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার ও দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করার পর হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজধানী খার্তুমে সৈন্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয় বিক্ষোভ আয়োজকদের গ্রেপ্তার করছে।
এদিকে সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব লিগ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন এ অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে অজ্ঞাত স্থানে রাখা বন্দি রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দাবি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ৭০ কোটি ডলারের একটি ত্রাণ সহায়তা স্থগিত করেছে। অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান দেশের ক্ষমতা দখলের জন্য রাজনৈতিক কোন্দলকে দায়ী করেছেন।
দুই বছর আগে দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির এক গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বেসামরিক নেতা ও সামরিক বাহিনীর নেতাদের নড়বড়ে এক ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তির মধ্য দিয়ে গত দুই বছর ধরে পরিচালিত হয়ে আসছিল সুদান। দেশটিকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সামরিক-বেসামরিক সার্বভৌম পরিষদ। কিন্তু তারপরও দুই পক্ষের মধ্যে মতভেদ বেড়েই চলছিল।
ক্ষমতা গ্রহণের পর জেনারেল বুরহান ২০২৩ সালের জুলাইয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
খার্তুম থেকে বিবিসির প্রতিনিধি মোহামেদ ওসমান জানান, সোমবার রাতে খার্তুমে ও অন্যান্য শহরে বিপুলসংখ্যক বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে বেসামরিক শাসন পুনর্বহালের দাবি জানায়। আহত এক বিক্ষোভকারী সাংবাদিকদের জানান, সামরিক সদর দপ্তরের সামনে সেনাবাহিনী তার পায়ে গুলি করেছে। অপর এক বিক্ষোভকারী জানান, সৈন্যরা প্রথমে স্টান গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায়, তারপর গুলি ছোড়ে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সুদানের পরিস্থিতি নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনায় মিলিত হতে পারে বলে কূটনীতিকরা জানান।