Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 10:21 pm

সুনামগঞ্জে তুহিন হত্যায় ‘পরিবারের সদস্য’

শেয়ার বিজ ডেস্ক: সুনামগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়া হত্যায় পরিবারের দু-তিন সদস্যের সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা বলেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দিরাই থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান। খবর: বিডিনিউজ।

গত রোববার শেষরাতে দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামের কৃষক আবদুল বাসিতের ছেলে তুহিন মিয়াকে (৫) হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে অজ্ঞাত খুনিরা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার বিকালে তুহিনের বাবা আবদুল বাসির, চাচা আবদুল মসব্বির, নাসির উদ্দিন, চাচি খায়রুল নেছা, চাচাতো বোন তানিয়া ও প্রতিবেশী আজিজুল ইসলামসহ সাতজনকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা তুহিনের পরিবারের সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছিলাম। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে দু-তিনজনের সম্পৃক্ততা আমরা পেয়েছি। যে দু-তিনজন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তারা পুলিশের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছে। প্রতিহিংসাবশত হতে পারে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হতে পারে, আবার মামলা-সংক্রান্ত বিষয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারেÑতদন্তের স্বার্থে সবকিছু বলা যাচ্ছে না।’

মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘নিহতের বাবাসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য বিভিন্ন মামলার আসামি। এলাকায় তাদের একাধিক প্রতিপক্ষ রয়েছে। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঘায়েল করতে চায়।’ তবে কারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত তা এড়িয়ে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, সবাইকে আটক দেখানো হচ্ছে না। পুরোপুরি জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।’

রোববার রাতের খাবার খেয়ে তুহিনের পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩টায় তুহিনের চাচাতো বোন সাবিনা বেগম ঘরের দরজা খোলা দেখে চিৎকার শুরু করলে পরিবারের সদস্যরা জেগে উঠে দেখেন তুহিন ঘরে নেই। খোঁজাখুঁজির পর বাড়ি থেকে কিছু দূরে মসজিদের পাশে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। পুলিশের লাশ উদ্ধারের সময় শিশুটির পেটে দুটি ছুরি গাঁথা ছিল। তার কান ও লিঙ্গও কেটে নেয় হত্যাকারীরা।