Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 10:03 pm

সুপার সিক্সের পথে রূপগঞ্জ

 

ক্রীড়া প্রতিবেদক: এক রানের আফসোসটা হয়তো থেকেই যাবে রাজা আলী দারের। কেননা, ওই রানটা হলেই চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) সেঞ্চুরির দেখা পেতেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের এ ব্যাটসম্যান। গতকাল তার ব্যাটে চড়েই পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে নারায়ণগঞ্জের দলটি। এর সঙ্গে চলতি টুর্নামেন্টের সুপার সিক্সে উঠার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল নাঈম ইসলামরা। অন্য ম্যাচে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবকে অবিশ্বাস্যভাবে ১ রানে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দিনের আরেক ম্যাচে শক্তিশালী আবাহনী লিমিটেডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে পেছনে ফেলে সুপার সিক্সে উঠেছিল রূপগঞ্জ। এবারও ঠিক নারায়ণগঞ্জের দলটির শেষ ছয়ে ওঠায় বাধা সেই জামাল। আজ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে চলতি লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নামবে দলটি। ওই ম্যাচের ফলের দিকে চোখ রাখতে হচ্ছে লিজেন্ডসদের।

গতকাল ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৭২ রান করে পারটেক্স। দলটির হয়ে জাতিন সাকসিনা ৯১ ও সাজিদ হোসেন করেন ৫০ রান। জবাবে রাজা আলী দারের ৯৯ ও মাহমুদুল হাসানের ৭০ রানে ভর করে ৪ বল আগেই ৫ উইকেটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ।

২৭৩ রানে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ২২ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রূপগঞ্জ। তবে ওয়ান ডাউনে নামা রাজা আলী চতুর্থ উইকেটে মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর প্রতিরোধ গড়েনে। দলীয় স্কোরবোর্ডে এ জুটি যোগ করে ১৫৪ রান। এর কিছুক্ষণ পরই অসুস্থতা বোধ করে ব্যক্তিগত ৭০ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদুল। তবে অন্য প্রান্তে আগলে ছিলেন রাজা। মূলত তার ব্যাটেই জয়ের পথে ছুটছিল রূপগঞ্জ।

চতুর্থ উইকেটে নাঈম ইসলামের সঙ্গে রাজার জুটিটাও জমেছিল বেশ। ৩৮.১ ওভারে দলীয় ২০০ রান পার করে রূপগঞ্জ। এরপরই মামুন হাসানের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন রাজা। সে সময় তিনি সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দূরে ছিলেন।

শেষদিকে নাঈম ইসলামের ৩৬ ও মোশাররফ হোসেনের ২২ রানে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার জনি তালুকদার ও জাতিন সাকসিনার ৭৬ রানে ভালো শুরু পায় পারটেক্স। ১৮ রানে জনি সৈয়দ রাসেলের বলে আউট হলেও সাজিদকে নিয়ে দুর্দান্তভাবেই দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন সাকসিনা। এ জুটিতে আসে ৫০ রান। এরপর দলীয় ১২৬ রানে ব্যক্তিগত ৯১ রানে আউট হন সাকসিনা। শেষদিকে অধিনায়ক ইরফান শুকুরের ৩০ বলে ৩৪ রানে ভর করে ২৭২ রান করে পারটেক্স। কিন্তু জয়ের জন্য এ রানও যথেষ্ট হলো না দলটির। এক রাজা আলী দারের কাছেই হেরে গেলো তারা।

এদিকে বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে আগে ব্যাট করে মানভিন্দার বিসলার (৭৮) ব্যাটে ভর করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৪৯.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান করে। জবাবে শুরু থেকেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেখে-শুনে খেলে ভিক্টোরিয়া। কিন্তু শেষদিকে কিছুটা খেই হারিয়ে বসে দলটি। যে কারণে শেষ ওভারে বলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় রানের চিত্রটা মেলাতে পারলেন না দলটির ব্যাটসম্যানরা। শেষ পর্যন্ত ১ রানে হার মানতে হয়েছে ভিক্টোরিয়ার।

পাশের মাঠে আফিফ হোসাইনের ৯৪ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২৯৪ রান করেছিল আবাহনী। জবাবে শাহরিয়ার নাফীসের ৬৯ ও মার্শাল আইয়ুবের ৮৩ রানে ভর করে ২.৫ ওভার আগেই জয় নিশ্চিত হয় প্রাইম দোলেশ্বরের।