সুফি অ্যাপারেলসের দেড় কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আবু তাহেরের মালিকানাধীন সুফি অ্যাপারেলস লিমিটেড এক কোটি ৬০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে।
সুফি অ্যাপারেলস গত ৩০ জুলাই চীন থেকে বন্ড সুবিধায় (সিন্থেটিক ফেব্রিক) ৭৫ শতাংশ পলিয়েস্টার ফেব্রিক্স ও ২৫ শতাংশ রেয়ন ফেব্রিক্স ঘোষণা দিয়ে ২৭ হাজার ৩০০ কেজি কাপড় আমদানি করে, যা বিল অব এন্ট্রিতে আমদানি মূল্য দেখিয়েছে মাত্র ৮১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। আর তাতে বন্ড সুবিধার আওতায় শুল্ক পরিশোধ করত মাত্র তিন হাজার টাকা। প্রকৃতপক্ষে এ প্রতিষ্ঠান ঘোষিত পণ্যের বদলে সমপরিমাণ রেমন্ড ব্র্যান্ডের পেন্টিং ফেব্রিক্স আমদানি করে, যার আনুমানিক শুল্কায়নযোগ্য মূল্য এক কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আর এতে শুল্ক করের পরিমাণ দাঁড়ায় এক কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থাৎ শুল্ক মূল্যসহ পণ্যের দাম দাঁড়ায় তিন কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
কাস্টম হাউজের উপকমিশনার মো. নূর উদ্দিন মিলন বলেন, বন্ড সুবিধার আওতায় কোনো আমদানিকারক ব্র্যান্ডে কাপড় আমদানি করতে পারে না। যদি ব্র্র্যান্ডে কাপড় আমদানি করতে হয় তাহলে বিল অব এট্রিতে পণ্যের নাম উল্লেখ ও আরোপিত শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু সুফি অ্যাপারেলস লিমিটেড অব এট্রিতে মিথ্যা ঘোষণা ও ক্রয় মূল্য কম দেখিয়েছে। তিনি বলেন, ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য কনটেইনারে এসব কাপড় চীন থেকে আমদানি করে। আমদানিকারক তিনটি ট্রাকে করে পণ্য খালাস করে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়েছিল। কিন্তু আমাদের কাছে গোপন সংবাদ থাকায় খালাস কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বর্তমানে মালামালগুলো বন্দরের হেফাজতে রাখা হয়েছে। চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল চট্টগ্রামের কদমতলীর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স গফুর এন্টারপ্রাইজ।
তবে শুল্ক ফাঁকির বিষয়ে জানতে সুফি অ্যাপারেলস লিমিটেডে ফোন করে কাউকে পাওয়া যায়নি।
কাস্টম কমিশনার ড. একেএম নূরুজ্জামান শেয়ার বিজকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টম হাউজের এআইআর শাখার কর্মকর্তারা চালানটির কায়িক পরীক্ষা করে। কায়িক পরীক্ষায় ঘোষিত পণ্যে বদলে
সমপরিমাণ রেমন্ড ব্র্যান্ডের ফেব্রিক্স পাওয়া যায়, যা বন্ড সুবিধার আওতায় পড়ে না। এই চালানটির অর্থদণ্ডও জরিমানা ছাড়া শুল্কায়নযোগ্য মূল্য আনুমানিক এক কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং মোট শুল্ককরের
পরিমাণ আনুমানিক এক কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ অর্থ ফাঁকি দিয়েছে কোম্পানিটি। আটককৃত চালানটি বন্দরের হেফাজতে রেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।