সুবর্ণচরে দেড় হাজার একর জমি অনাবাদি

আকাশ মো. জসিম, নোয়াখালী: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে প্রায় দেড় হাজার একর জমি অনাবাদি ভূমিতে পরিণত হয়েছে। উপজেলার  মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর উরিয়ার এ বিশাল এলাকায় ভূমিহীনরা বসবাসসহ চাষাবাদ করলেও ২০১৩ সাল থেকে পুরো এলাকা অনাবাদি হয়ে পড়ে রয়েছে।
জানা যায়, চর উরিয়ার এ জমি একসময় মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছিল। ২০০১ সালে সেখানে নতুন চর জেগে ওঠে। এ সময় জেলার বিভিন্ন স্থানের ভূমিহীন, নদীভাঙা ও অসহায় মানুষ সেখানে বসতি গড়েন। চাষাবাদও করতে থাকেন তারা। পরবর্তীকালে বিএনপি সরকারের আমলে তৎকালীন সংসদ সদস্য মো. শাহজাহানের কাছের লোক পরিচয়ে জনৈক আল ফরিদ ওই জমি থেকে ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করে কথিত মাছের ঘের নির্মাণ করে দখলে নেন। ২০০৭ সালে ফরিদ ফেনীর জনৈক শাহজাহান ঠিকাদারের কাছে ওই জমি হস্তান্তর করেন।
ভূমিহীন বেলাল ড্রাইভার ও সেলিম মাঝি জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হককে হাত করেই ঠিকাদার শাহজাহান ওই ভূমিতে নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখেন। তারা আরও দাবি করেন, ভূমিহীনরা যখন-তখন স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না। সে সুযোগে চেয়ারম্যানই ঠিকাদার শাহজাহানের পক্ষে সংসদ সদস্যকে ভুল বুঝিয়ে ওই ভূমিতে ভূমিহীনদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করান। অবশ্য চেয়ারম্যান দাবি করেন, ওই জমিতে ঠিকাদার শাহজাহানের মালিকানা রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার জানান, এ ভূমির বাস্তব অবস্থা তার জানা নেই। তিনি এ বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন। সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী জানান, প্রকৃত ভূমিহীনরা যাতে বন্দোবস্ত পেতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।