সুবর্ণচরে শিল্পের বিকাশ

‘শস্যভাণ্ডার’খ্যাত নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় শিল্প-কারখানার বিকাশ ঘটছে। অবশ্য এখানকার অধিকাংশ শিল্প-কারখানার মালিক দেশের অন্যান্য অঞ্চলের শিল্পপতি। চরওয়াপদা ইউনিয়নের আল আমিন বাজার এলাকায় আমিন গ্রুপের আল আমিন চিকস নামে একটি পোলট্রি কারখানা যাত্রা করেছে। এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজীপুরের আল আমিন।
কারখানাটির ব্যবস্থাপক
আবদুল্লাহ-আল-মামুন জানান, বর্তমানে এ কারখানায় ২২ জন কর্মী রয়েছেন। তাদের মধ্যে নোয়াখালীর ছয় কর্মী রয়েছেন। নিজাম উদ্দিন, আলী উদ্দিন ও শরিফ মিয়া এ কারখানায় কাজ করেন। তারা প্রতি মাসে ছয় হাজার টাকা বেতন পান। এছাড়া সবার থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে প্রতিষ্ঠানটি।
উপজেলায় প্রভিটা নামের আরেকটি বড় প্রতিষ্ঠান তাদের পোলট্রি উৎপাদন ও বিপণন শুরু করেছে বছর দুয়েক আগে। জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি আর্থিকভাবে বেশ সফল।
সম্প্রতি এজি গ্রুপ এখানে তিনটি পোলট্রি কারখানা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলো চালু করা হবে সুবর্ণচরের চরজিয়া, চরবাটা ও চরক্লার্ক ইউনিয়নে। শিগগিরই উৎপাদনে আসবে এসব কারখানা।
এবার মুদ্রার অপর পিঠটি দেখে নেওয়া যেতে পারে। স্থানীয় শিল্পপতি আনোয়ার মির্জার আল আমিন বিস্কুট কারখানাটি বন্ধ হয়ে গেছে পাঁচ বছর আগে। ইসলামী ব্যাংকের কাছে এ প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা দেনা রয়েছে। এ কারণে কারখানাটি দেউলিয়া হয়ে গেছে। তবে আল আমিন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস তাদের উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া এ গ্রুপের ফারহানা টেক্সটাইল কারখানাটিও আর্থিক দৈন্যে ডুবতে বসেছে। গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার মির্জা দাবি করছেন, ব্যাংকের দেনা সম্পূর্ণ পরিশোধের পথে। কারখানাটি পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, অতীতে একসময় কারখানাটি জেলার কয়েকশ নারী-পুরুষের বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা রেখেছিল।

আকাশ মো. জসিম

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০