মো. ইমরান হোসেন: ফেসবুক ব্যবহারে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। বুঝতেই পারছেন আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে কতটুকু পরিচিত। রাজধানীর অধিকাংশ মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করে। কারণ রাউটারের ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে একাধিক মানুষ এ সেবা এক সঙ্গে পেতে পারে। এতে যেমন খরচ কম, তেমন ইন্টারনেট লাইনের গতি ভালো পাওয়া যায়। আপনার ব্রডব্যান্ড লাইন থাকলে অবশ্যই একটা রাউটারও আছে, রাউটার থাকলে ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু আপনার রাউটার কি সুরক্ষিত? আপনার ইন্টারনেট লাইন কি আপনার অজান্তে আর কেউ ব্যবহার করছেন? আপনার ইন্টারনেটের গতিটা কি কম পাওয়া পাওয়া যাচ্ছে? এসব আপনাকে অনেক সময় ভাবিয়ে তোলে। ওয়াইফাই সংযোগে সমস্যার মুখোমুখি হননি এমন ব্যবহারকারী পাওয়া যাবে না। এরও সমাধান আছে। আপনি চাইলে আপনার রাউটারটি সুরক্ষিত রাখতে পারেন। তাহলে পদ্ধতিটি এবার জেনে নেওয়া যাক।
ওয়াইফাইয়ের রাউটার যতটা সম্ভব উঁচুতে রাখার চেষ্টা করুন। যেসব বিষয় ওয়াইফাই সংযোগে বাধা সৃষ্টি করে তা এড়িয়ে চলুন। রাউটার জানালার পাশে কিংবা ঘরের এক কোণে না রাখাই ভালো। ঘরের মাঝখান বরাবর রাখুন। তাহলে বাইরের কেউ সহজেই আপনার ওয়াইফাই সুবিধা নিতে পারবে না। আপনি ঘরে বসেই ভালোভাবে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারবেন।
অতিথি এসেছে। আপনি চাচ্ছেন না আপনার নিয়মিত পাসওয়ার্ড তারা জানুক। তাহলে রাউটারে গেস্ট নেটওয়ার্ক চালু করুন। সহজ পাসওয়ার্ড দিন। রাউটারে অ্যাডমিন সেটিংসে গেলেই গেস্ট নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। অতিথি চলে গেলে গেস্ট নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিন।
আপনি চাইলে ওয়াইফাইয়ে ব্যবহাকারীর সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন। কেউ আপনার ইন্টারনেট ব্যবহার করছে তা শনাক্ত করে আপনি তার ডিভাইসটি ব্লকও করে দিতে পারবেন।
রাউটারে বারবার ব্যাঘাত ঘটলে পাসওয়ার্ড বদলে নিন। ছয় মাসে অন্তত একবার হলেও বদলান। রাউটার সবসময় অন রাখার চেষ্টা করুন। কারণ রাউটার অন, অফ বেশি করলে সুইচে সমস্যা হতে পারে।
Add Comment