শেয়ার বিজ ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে ইউরোপের বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধার দুয়ার খুলতে পারে। সঙ্গে মানতে হবে বেশ কয়েকটি শর্ত। ঢাকার ইইউপ্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, মার্কিনিদের মতো ভিসানীতিতে নেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রাজনৈতিক সংকট কাটাতে আলোচনাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। অস্ত্র ব্যতীত ইউরোপে শুল্ক ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা পায় বাংলাদেশ। দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশই যায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। স্বল্পোন্নত দেশ বেরিয়ে বাংলাদেশ এখন হাঁটছে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। ফলে ২০২৯ সালে জিএসপি সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। তবে জিএসপি প্লাস নামে আরেকটি নতুন দুয়ার খুলছে ইইউ, যাতে মিলবে প্রায় একই রকম সুবিধা। কিন্তু এজন্য মানতে হবে ৩২টি কনভেনশন, যার অন্যতম সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন। ইইউ ঢাকার প্রধান চার্লস হোয়াইটলি এসব কথা বলেছেন। সূত্র: চ্যানেল২৪।
বাংলাদেশের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেন, যদি নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়, তবে তা দারুণ ইতিবাচক সিগন্যাল দেবে যে বাংলাদেশ জিএসপি প্লাসের জন্য প্রস্তুত। কারণ নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ওপর আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী সবার ন্যূনতম নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার থাকতে হবে। এই কূটনীতিক জানান, আগামী ৮ জুলাই ১৩ দিনের মিশনে বাংলাদেশে আসছে নির্বাচনপূর্ব পর্যবেক্ষক দল, যারা বৈঠক করবে সবার সঙ্গে।
চার্লস হোয়াইটলি বলেন, নির্বাচনপূর্ব পর্যবেক্ষক দল ৮ জুলাই আসবে, থাকবে ২১ তারিখ পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে তারা রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ সবার সঙ্গে কথা বলবে, এখানকার পরিবেশ ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবে। শুধু ব্যালট বাক্স ও ভোটিং পদ্ধতির স্বচ্ছতাই দেখবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির পথে হাঁটছে না ইউরোপের ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে রাজনৈতিক সংকট কাটাতে আলোচনাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। বাংলাদেশের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন প্রধান বলেন, মার্কিনিরা তাদের নীতি গ্রহণ
করেছে, আমাদেরটা ভিন্ন। আমরা নির্বাচনপূর্ব মিশনে গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে আমার বিশ্বাস, রাজনৈতিক
দলগুলো জানে নির্বাচনে তাদের অংশ নেয়ার প্রয়োজনীয়তা। কোন দল অংশ নেবে, একান্তই তাদের পছন্দ। যদি কোনো অবিশ্বাস থাকে তবে সংলাপে বসতে পারে। জাতীয় নির্বাচনে সাধারণ মানুষের মতামত প্রতিফলিত হবে বলেও আশা ইইউ ঢাকা প্রধানের।