রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে গতকাল সূচকের ব্যাপক ওঠানামার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। আগের দিন হাজার কোটির ঘরে লেনদেন হয়। গতকাল ১৮২ কোটি টাকা কমে ফের ৮০০ কোটির ঘরে নেমে এসেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন। তবে লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক আট পয়েন্ট ও ডিএসই ৩০ সূচক চার পয়েন্ট ইতিবাচক ছিল। নেতিবাচক অবস্থানে ছিল ডিএসই শরিয়াহ সূচক। গতকাল ডিএসইতে মাত্র ৩৮ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। কমেছে ৪৯ শতাংশের দর। তা সত্ত্বেও সূচকের উত্থানে ভূমিকা ছিল ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক খাতের। এ তিনটি খাত ছাড়া বাকি প্রায় সব খাতে বিক্রির চাপ বেশি ছিল।
গতকাল মোট লেনদেনের ২৭ শতাংশ বা ২২১ কোটি টাকা লেনদেন হয় প্রকৌশল খাতে। বিক্রির প্রবণতা বেশি থাকায় এ খাতে মাত্র ২৭ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাতের রংপুর ফাউন্ড্রি, আজিজ পাইপস ও বিডি অটোকার দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে উঠে আসে। শেষের দুটি ছিল বি ক্যাটেগরির কোম্পানি। বিবিএস কেব্লসের ৩৭ কোটি, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের সাড়ে ১৮ কোটি ও ইফাদ অটোসের ১৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১৩ শতাংশ। এ খাতে মাত্র ২০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। ড্রাগন সোয়েটারের ১৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১০ শতাংশ। এ খাতে মাত্র ১৭ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। স্কয়ার ফার্মার সাড়ে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ব্যাংক খাতে মাত্র ছয় শতাংশ লেনদেন হলেও এ খাতের ৮৭ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। মার্কেন্টাইল ও ট্রাস্ট ব্যাংক দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে উঠে আসে। আর্থিক খাতে মাত্র দুই শতাংশ লেনদেন হলেও দর বেড়েছে ৬৯ শতাংশ শেয়ারের। এ খাতের ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে উঠে আসে। এছাড়া বিমা খাতে ৫৫ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাতের পদ্মা লাইফ, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্স দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে অবস্থান করে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৫৩ শতাংশ শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল। কাগজ ও মুদ্রণ খাতের বসুন্ধরা পেপারের প্রায় ১৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। পুনরায় কারখানা চালুর খবরে খুলনা প্রিন্টিং ও প্যাকেজিংয়ের দর ৯০ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে সেবা ও আবাসন, টেলিযোগাযোগ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে একটি কোম্পানির দরও বাড়েনি।