নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে গতকাল রোববার লেনদেনের শুরুতে মূল্যসূচকের বড় উত্থান দেখা গেলেও সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের শেষভাগে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার পাশাপাশি প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সব মূল্যসূচক কমেছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।
এদিন পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৭ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা শেয়ারের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। কিন্তু শেষ দেড় ঘণ্টার লেনদেনে হঠাৎ বেড়ে যায় শেয়ার বিক্রির চাপ। এতে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকা থেকে দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে মূল্যসূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। লেনদেনের শেষ আধা ঘণ্টায় বিক্রির চাপ আরও বেড়ে যায়। ফলে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সব মূল্যসূচক কমে।
অবশ্য দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি রয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৩টির। আর ১৮১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স চার পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ২২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে দুই হাজার ১০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সব মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৪৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩৭০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৭৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
বাজারটিতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৮ কোটি ১৮ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইয়াকিন পলিমারের ২২ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২১ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফু-ওয়াং সিরামিক।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেÑপ্যাসিফিক ডেনিমস, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, এমারেল্ড অয়েল, ডমিনেস স্টিল বিল্ডিং, ফু-ওয়াং ফুড, অলিম্পিক এক্সসরিজ এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।
সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ১৬১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৪টির এবং ৮১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে আট কোটি ১০ লাখ টাকার। আগের দিন লেনদেন হয় ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।