নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস গতকালও কিছুটা কমার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসেও সূচক কমলেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল আইটি খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটির শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ার। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল সেবা ও আবাসন এবং সিরামিক খাত। এতে দ্বিতীয় দিনের মতো আইটি, কাগজ ও সেবা খাত বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ধরে রেখেছে। অপরদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো পাট খাতের শেয়ারদর কমেছে সবচেয়ে বেশি। আগের দিনও খাতটি শেয়ারদর কমার দিক থেকে শীর্ষে ছিল।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আইটি খাতের শেয়ার দর বেড়েছে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। এদিন খাতটিত মোট ১১ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৮টির দর বেড়েছে এবং ২টির কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কাগজ খাতে দর বেড়েছে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ২টির কমেছে ও ২টির অপরিবর্তিত ছিল। ১ দশমিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে সেবা খাত তৃতীয় স্থানে ছিল। এ খাতে লেনদেনে ৪টি কোম্পানির মধ্যে ২টি দর বেড়েছে এবং ১টির অপরিবর্তিত ছিল। চতুর্থ স্থানে থাকা সিরামিক খাতে দর বেড়েছে দশমিক ৩০ শতাংশ। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, সিমেন্ট, আর্থিক, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় পাট খাতে শেয়ার দর সবচেয় বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ার দর কমেছে ১ শতাংশ। এরপর দর বেশি কমেছে জীবন বিমা খাতের শেয়ারে। খাতটিতে দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে তৃতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাত।
অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয় বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হওয়া জীবন বিমা খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা কাগজ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বা দশমিক ১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৯১ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা দশমিক ২ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৫২ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৯১ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে।
ডিএসইতে ৩৩৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবস থেকে ৫০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ২৮৪ কোটি ২০ লাখ টাকার। ডিএসইতে ৩২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩২টির বা ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৩১টির বা ৪০ দশমিক ৬ শতাংশের এবং ১৬৪টির বা ৫০ দশমিক ১৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বা দশমিক ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩০১ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৪৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৫টির আর ৭৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।