শেয়ার বিজ ডেস্ক : বড় ধস কাটিয়ে গত শুক্রবার মার্কিন পুঁজিবাজারের প্রধান সূচকগুলোর পয়েন্ট কিছুটা বেড়েছে। তবে এখনও গত দুবছরের মধ্যে খারাপ অবস্থায় রয়েছে ওয়ালস্ট্রিটের বাজার। সামনের দিনগুলোয় আরও দরপতনের আশঙ্কা করছেন বিনিয়োগকারীরা।
গত ২৬ জানুয়ারি রেকর্ড সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল মার্কিন পুঁজিবাজার। এর পর থেকে ১০ শতাংশের বেশি পড়েছে শেয়ার সূচক। এতে ৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে পড়েছে দেশটির বাজার। প্রত্যাশার চেয়ে অর্থনৈতিক বাস্তবতা ভালো হয়েছে। এতে সুদহার বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দেয়। ফলে বিনিয়োগকারীরা এখন শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে বন্ড ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থ রাখার দিকে ঝুঁকছেন। এ কারণেই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে।
এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক দুই সপ্তাহ আগের রেকর্ড সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৯ শতাংশ নিচে রয়েছে। যদিও শুক্রবার ডাও জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ ৩৩০ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং নাসডাক সূচক বেড়েছে ৯৭ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে বা এক দশমিক ৪৪ পয়েন্ট।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে সুদহার বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দেবেÑএ আশঙ্কায় এশিয়া ও ইউরোপের বাজারেও বড় দরপতন হয়। বৈশ্বিক বাজারে দরপতনের মধ্যে চীনের ইকুইটি সবচেয়ে চাপে রয়েছে। দেশটির চান্দ্র নববর্ষের ছুটির আগে বিনিয়োগকারীরা নগদ অর্থ হাতে রাখতে চাইছে। ফলে চীনের ইকুইটিগুলো নি¤œমুখী থাকতে দেখা গেছে। চীনা শেয়ারবাজারের মধ্যে সাংহাই কম্পোজিট ইনডেক্সে ছয় শতাংশ দরপতন লক্ষ্য করা যায়। এটি ছিল ২০১৭ সালের মে মাসের পর সবচেয়ে বেশি দরপতন। ব্লুচিপ কোম্পানিগুলোর সমন্বিত সিএসআই৩০০ সূচকটিতে ছয় দশমিক এক শতাংশ পতন লক্ষ্য করা যায়। উভয় সূচকটিই ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালের পর একদিনে সবচেয়ে বড় লোকসানের মুখোমুখি হয় শুক্রবার।