নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল কিছুটা নি¤œমুখী দেখা যায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের মতো গতকালও বিক্রয় চাপেই সূচকের এই প্রবণতা দেখা যায়। দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ১৫ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে স্থির হয় পাঁচ হাজার ৮৮ পয়েন্টে।
এদিকে সূচক পতনের দিন লেনদেনে দাপট দেখিয়েছে ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক খাতের কোম্পানির শেয়ার। বহুদিন পর গতকাল এই তিন খাত একসঙ্গে লেনদেনে আধিপত্য বিস্তার করে। দিন শেষে মোট লেনদেনে এই তিন খাতের অবদান ছিল প্রায় ৫২ শতাংশ।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, লেনদেনে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল বিমা খাত। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিল এ খাতের শেয়ার। দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতের একক অবদান দেখতে পাওয়া যায় ২৯ শতাংশ। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকায় গতকাল এই খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়।
এদিকে বিমা খাতের পরের অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। গত কয়েক দিনের মতো গতকালও এই খাতের শেয়ারে আগ্রহ দেখান বিনিয়োগকারীরা, যে কারণে লেনদেনে এগিয়ে যায় খাতটি। দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় প্রায় ১২ শতাংশ। ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারেও চোখ ছিল বিনিয়োগকারীদের। গতকাল এই খাতেও বিনিয়োগ বাড়তে দেখা যায়। এর জের ধরে দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতটির অবদান দাঁড়ায় ১১ শতাংশের কিছু বেশি।
অন্যদিকে এর পরের অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দেখাতে পাওয়া যায় ১১ শতাংশ। এছাড়া গতকালের লেনদেনে কিছুটা অংশ গ্রহণ দেখা যায় বিবিধ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শেয়ারে। অন্য খাতগুলো ছিল প্রায় বিবর্ণ।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে লেনদেন আগের কার্যদিবসের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। দিন শেষে ডিএসইতে মোট এক হাজার ১০৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট ও শেয়ার কেনাবেচা হয়। এর আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট লেনদেন ছিল এক হাজার ১৩ কোটি টাকা। এদিকে গতকাল ব্লক মার্কেটে মোট সাড়ে ১০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হতে দেখা যায়। লেনদেনে অংশগ্রহণ করে মোট ২৩টি কোম্পানি।
