সূচক বাড়লেও লেনদেন কমে ৪০০ কোটির নিচে

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কমে ৫০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও কেনার চাপ বেশি থাকায় সিমেন্ট খাতের শেয়ারদর বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন পাট খাতের শেয়ারে। ফলে এ খাতে শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল। এদিন উত্থানেও বিক্রির চাপ থাকায় দুই খাতের শেয়ারদর কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সিমেন্ট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৫টির দর বেড়েছে এবং বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ার। খাতটিতে দর বেড়েছে ১ দশমিক ২০ শতাংশ। ১ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাত।

এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, ট্যানারি, বিবিধ, সিরামিক, প্রকৌশলী এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় পাট খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা সাধারণ বিমা খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ।

গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ভ্রমণ ও অবকাশ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

ডিএসইর তথ্য মতে, বাজারে ৩৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৭ কোটি ৯৪ লাখ ৮৪ হাজার ২৭৭টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৩৮৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫ হাজার টাকার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৬৮ কোটি ৫০ লাখ ৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে। এদিন দাম বেড়েছে ১১০টি কোম্পানির শেয়ারের, বিপরীতে কমেছে ৫২টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৫টির।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৫ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩১৫ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৭১ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪৮ পয়েন্টে।

আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৬২ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ৮৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৪টির, কমেছে ১৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির দাম। দিন শেষে সিএসইতে ২ কোটি ৪০ লাখ ৭১ হাজার ৩৪৩ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০ কোটি ৯৩ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০