রুবাইয়াত রিক্তা: অবশেষে টানা সাত কার্যদিবস পরে সূচকের গতিপথ ঘুরেছে। তবে লেনদেন আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মাত্র ২৭১ কোটি টাকা লেনদেন হয়। যা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। গতকাল ৬৩ শতাংশ কোম্পানির দর বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সূচক ইতিবাচক অবস্থানে যেতে পেরেছে। এছাড়া সূচকের প্রভাব বিস্তারকারী স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন, বিএটিবিসি, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির দর বৃদ্ধি এবং ব্যাংক খাতের দর ও লেনদেন বৃদ্ধি সূচকে ইতিবাচক গতি ফিরিয়েছে। সূচক বাড়লেও লেনদেনে গতি না ফেরায় বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক কাটেনি।
বিমা খাত ছাড়া প্রায় সব খাতেই শেয়ারের দর বেড়েছে। বিমা খাতে ছিল বিক্রির চাপ। মোট লেনদেনের ১৬ শতাংশ বিমা খাতে হলেও এ খাতে ৬১ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ছয় কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে ৬০ পয়সা। ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের সাড়ে চার কোটি টাকা লেনদেন হলেও দরপতন হয় ৭০ পয়সা। প্রায় সাত শতাংশ দর বেড়ে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স দর বৃদ্ধির শীর্ষ পাঁচে উঠে আসে। দুই শতাংশ বেড়ে ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ১১ শতাংশ। এ খাতে ৬০ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকের সোয়া ৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে ২০ পয়সা। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১০ শতাংশ। এ খাতে ৮৪ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। বস্ত্র খাতে ৯ শতাংশ লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৬৯ শতাংশ কোম্পানির। দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় উঠে আসে আরএন স্পিনিং ও জাহিন টেক্সটাইল। শেয়ার দুটির দর সাড়ে পাঁচ শতাংশ করে বেড়েছে। বিবিধ খাতে ৮৪ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। এ খাতের বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের প্রায় ৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে দুই টাকা ৭০ পয়সা। সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের সোয়া আট কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে প্রায় তিন টাকা। সোয়া পাঁচ শতাংশ বেড়ে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে। ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৮১ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। স্কয়ার ফার্মার দর বেড়েছে সাড়ে তিন টাকা, লেনদেন হয় পৌনে পাঁচ কোটি টাকা। আর্থিক খাতে ৬৯ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সাড়ে ছয় শতাংশ করে বেড়ে বে লিজিং ও মাইডাস ফাইন্যান্সিং দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে অবস্থান করে। টেলিযোগাযোগ খাতের বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লসের দর চার টাকা ১০ পয়সা ও গ্রামীণফোনের দর তিন টাকা ৩০ পয়সা বেড়েছে।
সূচক বাড়লেও লেনদেন আশঙ্কাজনক
