Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 3:57 pm

সূয্যিমামা জাগার আগে উঠব আমি জেগে

বর্তমানে শিশুদের দিন শুরু হয় দেরিতে। ঘুম থেকে ওঠে তারা দেরিতে। এরপর শুরু হয় স্কুলের জন্য তাড়াহুড়ো। অনেক শিশু সকালের নাশতা না করেই স্কুলে যায়। অর্থাৎ দিনের শুরুটা হয় মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে, শেষও হয় ওভাবেই। এই অভ্যাস মোটেও ইতিবাচক নয়। এতে শিশুদের মন ও দেহের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কেননা এর সমাধান সবার আয়ত্তেই রয়েছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে। সূয্যি মামা জাগার আগে উঠলে তুলনামূলক বেশিই ভালো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোর ৪টায় ঘুম থেকে ওঠার আদর্শ সময়। ইউরোপ, আমেরিকা মহাদেশের শিশুদের ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে ঘুম থেকে ওঠার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়। স্কুলবাসের সময়ের আগে অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে উঠে পড়ার জন্য চাপ দেন অভিভাবকরা। আমাদেরও এ বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।
ছোট বয়স থেকেই শিশুদের ভোরে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এটাও ঠিক রাখতে হবে যেন তারা পর্যাপ্ত সময় ঘুমায়। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার জন্য তাদের উৎসাহ দিতে হবে। মা-বাবাকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে তারা রাত ৮টার মধ্যে কম্পিউটার, টিভি বন্ধ করে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত হয়। রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া উত্তম। এটি শিশুদের আচরণে পরিবর্তন আনবে। তারা কাজ সঠিক সময়ে করার জন্য আত্মবিশ্বাসী হবে।
ভোরে উঠে হালকা ব্যায়াম যে কোনো বয়সী মানুষের জন্য উপকারী। এ অভ্যাসটি সবাইকে চনমনে রাখবে নিশ্চিত। শিশুদেরও প্রয়োজন ব্যায়াম। হালকা স্ট্রেচিং তাদের শরীরের নমনীয়তা বজায় রাখবে, তা হলফ করেই বলা যায়।
ভোরে উঠলে তারা প্রতিদিনের কাজ ভালোভাবে শুরু করতে পারবে, শেষও করতে পারবে। স্কুলে যাওয়ার আগে তাদের প্রতিদিনকার কাজ শেষ করার জন্য শিশুদের উৎসাহ দিতে হবে।
পড়াশোনার পরিকল্পনার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে। তারা নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারবে।
স্কুলে যাওয়ার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত হতে পারবে। ব্যাগে ঠিকঠাকভাবে সবকিছু গুছিয়ে নিতে পারবে। এ অভ্যাসটি তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ বাড়াতে সাহায্য করবে।
সকালের নাশতা সঠিকভাবে করতে পারবে। অনেক শিশু বিস্কুট অথবা ওয়েফার খেয়ে সাধারণত স্কুলে যায়। অথচ শিশুর পুষ্টির জন্য সকালের খাবার হওয়া উচিত দানাশস্য ও ফলসমৃদ্ধ। ভোরে উঠলে তারা ধীরে-সুস্থে সকালের খাবার খেতে পারবে।
ভোরে উঠলে তারা মানসিক চাপমুক্ত থাকবে। কারণ তারা তাদের কাজ শেষ করার যথেষ্ট সময় পাবে। কাজগুলোও হবে নিখুঁত।