সেখান থেকে ফেরে না কেউ

রহস্যের জট খোলেনি আজও। বরং নিত্যনতুন কল্পনা-জল্পনার জন্ম দিয়েই চলেছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। এসব রহস্যের কূল-কিনারা করতে পারছেন না কেউ। কোনো ঘটনার বিশ্লেষণও করা যাচ্ছে না ঠিকমতো। শুধু ধারণা ও মতামতই ভরসা। যদিও বিজ্ঞানীরা থেমে নেই, তারা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আলোর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে একদল বিজ্ঞানীর দাবি, তাঁরা এ রহস্যের স্বরূপ উদ্ঘাটন করেছেন। ‘ডেভিলস ট্রায়াঙ্গল’খ্যাত এ মৃত্যুপুরী নিয়ে নতুন ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন বিখ্যাত আবহবিদ র‌্যান্ডি কারভ্যানিসহ কয়েকজন বিজ্ঞানী। তাদের মতে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্যের মূল কারণ হচ্ছে একধরনের ষড়ভুজাকৃতির মেঘ। এ মেঘ বারমুডা দ্বীপের ২০ থেকে প্রায় ৫৫ মাইলজুড়ে শক্তিশালী বাতাস তৈরি করে, যার গতি ঘণ্টায় ১৭০ মাইল। এ ‘এয়ার বম্ব’ প্রায় ৪৫ ফুট উঁচু সমুদ্র ঝড় তৈরি করতে সক্ষম। এ কারণে মূলত এ অঞ্চল দিয়ে গন্তব্য অভিমুখে চলা বিমান ও জাহাজ হারিয়ে যায়। কিন্তু কোথায় হারিয়ে যায়? এ প্রশ্নের কোনো উত্তর এখনও বিজ্ঞানীরা দিতে পারেননি। আবার কেউ কেউ সেখান থেকে ফিরে আসার দাবি করলেও সে সত্যতা নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।

বারমুডা ট্রায়ঙ্গাল সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে রাখতে পারেন

১.  ১৪৯২ সাল। ভূপর্যটক ও স্প্যানিশ নাগরিক কলম্বাস সর্বপ্রথম বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে কলম ধরেন। এ অঞ্চল দিয়ে পার হওয়ার সময় তার জাহাজের কম্পাস অকেজো হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে সে যাত্রায় পরিত্রাণ পেয়েছিলেন তিনি।

২.  এর আয়তন প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার মাইল।

৩. এখন পর্যন্ত হারিয়ে যাওয়া কোনো বিমান ও জাহাজের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। গত শতাব্দীতেই এখানে হারিয়ে গেছে প্রায় এক হাজার মানুষ।

৪.  ১৯৪৫ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে। এমন সময় পাঁচটি মার্কিন বোমারু বিমান এখানে নিখোঁজ হয়। এগুলোকে খুঁজতে আরও তিনটি বিমান পাঠানো হয়। কিন্তু একটি বিমানও ফিরে আসেনি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০