নিজস্ব প্রতিবেদক: বিমা খাতের কোম্পানি সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ প্লাস’। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং চলতি হিসাববছরের ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
বিমা খাতের কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৩ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২০৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৩ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ, সরকারি শূন্য দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩৭ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে চলতি হিসাবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৩ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৫৪ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ১ পয়সা।
অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৫ পয়সা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস কমেছে ১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৪ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৪৭ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৯ পয়সা।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৯৬ পয়সা। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ৩ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সালে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ৪৯ টাকা ৪৮ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল ২ টাকা ৫১ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সালে এনএভি ছিল ৪৯ টাকা ৩৫ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭৭ পয়সা।