নিজস্ব প্রতিবেদক: বিমা খাতের কোম্পানি সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দাবি পরিশোধের সক্ষমতায় রেটিং পেয়েছে ‘এএ মাইনাস’। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিমা খাতের কোম্পানি সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ২৪ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাস (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) শেষে শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে এক টাকা ৭৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৭১ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৩০ পয়সা, যা ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ২৩ টাকা ৭৩ পয়সা। আর তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে এক টাকা ৫৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় এক টাকা ৯৯ পয়সা ছিল।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ২৫ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৪ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে ৫৭ হাজার ৯২৭টি শেয়ার মোট ৭৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৮ টাকা থেকে ৩১ টাকায় ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ওই সময় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করে দুই টাকা ১৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসম্বের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ২৩ টাকা ৭৩ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল এক টাকা ৭৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২২ টাকা ৮১ পয়সা। ২০১৭ সালে মোট মুনাফা করে আট কোটি ১৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১০০ কোটি অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৭ কোটি আট লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির চার কোটি ৭০ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৯টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪২ শতাংশ, সরকারি ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩৭ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার।