নিজস্ব প্রতিবেদক:বিমা খাতের কোম্পানি সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দাবি পরিশোধের সক্ষমতায় (সিপিএ) রেটিং পেয়েছে ‘ডাবল এ’। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং চলতি হিসাববছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৫ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ২৭ হাজার ৫৩৯টি শেয়ার মোট ২৪ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৫২ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে।
বিমা খাতের কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৩ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৩ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ, সরকারি এক দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৯ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে সর্বশেষ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সালে এনএভি ছিল ৪৯ টাকা ৩৫ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭৭ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ৬ শতাংশ নগদ ও সাড়ে সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ২ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬৯ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৮০ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ১১ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৪ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ০১ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস কমেছে ৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৩৮ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ২ পয়সা।