Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 9:16 pm

সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের দর বেড়েছে ২১ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২১ দশমিক শূন্য এক শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে আট কোটি ৯১ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৫৮ লাখ পাঁচ হাজার টাকার শেয়ার।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ বা এক টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৭ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৬ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে ৩৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮১৪টি শেয়ার মোট এক হাজার ৭৬১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা। আর দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৫ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৭ টাকায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ছয় টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৭ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪৪ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ২৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮৭ পয়সা।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছর ছিল ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৫৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ১৫ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা পাঁচ পয়সা ও ১৬ টাকা ৭৮ পয়সা।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আর গত সপ্তাহে ফান্ডটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে পাঁচ কোটি দুই লাখ ৭৭ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ১৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ বা এক টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৯ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১৯ টাকা ৫০ পয়সা। দিনভর কোম্পানিটির ২৫ লাখ ছয় হাজার ৬৬টি শেয়ার মোট এক হাজার ৩১২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর চার কোটি ৭১ লাখ ১৭ হাজার টাকা। ওই দিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৯ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১৯ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৩৪ পয়সা লোকসান এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৩৩ পয়সা। এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় হয় এক টাকা ৫১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয় ১৭ টাকা ৩৯ পয়সা। ওই সময় মুনাফা করে ১০ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৩ কোটি চার লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৭ কোটি দুই লাখ ১০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট সাত কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ছয় দশমিক ৩৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্প্যা লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন চার কোটি ৯৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৮৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকার শেয়ার।

সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছয় দশমিক ৫৩ শতাংশ বা চার টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৭১ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৭১ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ৯ লাখ ৮৬ হাজার ৫২৩টি শেয়ার মোট এক হাজার ৮০০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছয় কোটি ৮২ লাখ ১৬ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭২ টাকায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৭২ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৯) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৯ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস তিন পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে ১০ টাকা ৪২ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১০ টাকা ৬৬ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৫৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৬০ পয়সা।

২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট ১২ কোটি সাত লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩০ দশমিক ৪০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ২২ দশমিক ৭৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।