Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 4:16 pm

সেপ্টেম্বরে ই-কমার্সভিত্তিক লেনদেন বেড়েছে ১৩%

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় ব্যাংক শাখায় যাওয়া কমিয়েছেন সাধারণ গ্রাহক। এ সময়ে সরাসরি ব্যাংক লেনদেনের পরিবর্তে ইন্টারনেট সেবাকেই বেছে নিচ্ছেন তারা। ফলে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের আর্থিক লেনদেন ও গ্রাহক সংখ্যা দুটোই আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু ব্যাংকেই নয়, মোবাইল ব্যাংকিং বা এমএফএস লেনদেনও বাড়ছে। সাধারণ গ্রাহক এখন অ্যাপসের মাধ্যমে লেনদেন করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। ফলে মহামারির সময়ে ঘরে বসে আর্থিক চাহিদা মেটাতে পারছেন তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরে অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম), পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট (সিআরএম) ও ই-কমার্স ট্রানজেকশনের মাধ্যমে মোট লেনদেন হয়েছে ১৬ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা, যা আগের বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১৬০ কোটি ২০ লাখ টাকা বেশি। বছরের ব্যবধানে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ইন্টারনেটভিত্তিক সার্বিক লেনদেন আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে এটিএমভিত্তিক লেনদেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আরও জানা যায়, উল্লিখিত খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ই-কমার্স ট্রানজেকশন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ই-কমার্স ট্রানজেকশন হয়েছে ৪০৬ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৯৫ কোটি ৩০ লাখ। এক বছরের মধ্যে ২১০ কোটি ৭০ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এই লেনদেন, যা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১০৮ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের একই সমেয় এটিএমের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ১৪ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এক হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা বেশি। পিওএসের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩৫০ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল এক হাজার ২৮৯ কোটি টাকা।

অন্যদিকে কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্টের (সিআরএম) মাধ্যমে লেনদেন হওয়া টাকার পরিমাণ ৭০১ কোটি, যা আগের বছরের এক সময়ে ছিল ১৭০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে আরও জানা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইলভিত্তিক লেনদেন হয়েছে ৪৯ হাজার ১২১ কোটি টাকা, যা আগের মাস আগস্টে তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। ওই মাসে এই লেন হয়েছিল ৪১ হাজার ৪০৪ কোটি টাকার। নগদ টাকার লেনদেন কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও অনেক নীতি সহায়তা দিয়ে আসছে। সম্প্রতি মোবাইলের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলনের নির্ধারিত সীমা বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

২০১৭ সালের ২ নভেম্বর দেশে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। এ সেবার মাধ্যমে গ্রাহক ঘরে বসে যে কোনো সময় এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে অর্থ লেনদেন করতে পারছেন। এতে ক্যাশলেস বা টাকাবিহীন লেনদেন বাড়ছে। এ সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য যে কোনো অ্যাকাউন্টে, অ্যাকাউন্ট থেকে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে অথবা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে অর্থ লেনদেন করতে পারেন। এছাড়াও অল্প সময়ে দ্রুত ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ, ডিপিএস ও ঋণের কিস্তি জমা, বিমার প্রিমিয়াম দেওয়া ও ব্যবসায়িক লেনদেন করা যায়।