শেয়ার বিজ ডেস্ক : ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনের কার ইন্ডাস্ট্রিতে ধস নেমেছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গাড়ি বিক্রি কমেছে ৯ দশমিক তিন শতাংশ যা ২০১১ সালের পর গত ছয় বছরে সর্বোচ্চ কম। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির গাড়ি উৎপাদন ইন্ডাস্ট্রি ‘সোসাইটি অব মোটরস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ট্রেডারস’ (এসএমএমটি) এক প্রতিবেদনে জানায়, যেখানে সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনে নতুন গাড়ির চাহিদা বেশি থাকে, সেখানে ওই মাসেই গত ছয় বছরের সর্বনিম্ন গাড়ি বিক্রি হয়েছে। খবর বিবিসি, রয়টার্স।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ প্রক্রিয়ায় নতুন গাড়ি বিক্রি কমে গেছে বলে ধারণা করা হয়। যদিও ব্রেক্সিট আলোচনায় গত ছয় মাস ধরে নতুন গাড়ির চাহিদা কমছে ব্রিটেনে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ইউরোপের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাজ্যে সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক তিন শতাংশ কমে চার লাখ ২৬ হাজার ১৭০টি নতুন গাড়ির চাহিদা পাওয়া গেছে। যদিও গাড়ি ক্রয়ে আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি ও ভোক্তা আস্থাসূচক কমে যাওয়ায় এপ্রিল থেকে গাড়ির চাহিদা কমতে থাকে।
ব্রিটিশ সরকারের বায়ুদূষণ রোধে পেট্রলচালিত গাড়ি বন্ধের ঘোষণায় ডিজেলচালিত গাড়ির চাহিদা একেবারে কমে যায়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দুই দশমিক চার শতাংশ গাড়ির চাহিদা কমে যায়। এসএমএমটি জানায়, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ভোক্তা কনফিডেন্স লেবেল কমায় গাড়ি ইন্ডাস্ট্রিতে ধস নেমেছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মাইক হাওয়েজ বলেন, সেপ্টেম্বর যেখানে কার ইন্ডাস্ট্রির জন্য হেলদি; কিন্তু বিক্রি কমায় ব্যবসায়ীদের জন্য উদ্বেগজনক।
চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে মোট গাড়ি বিক্রি হয়েছে ২০ লাখ ৬৬ হাজার ৪১১টি। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিন দশমিক ৯ শতাংশ কম। তবে মঙ্গা বাজারের মধ্যে নিশান ও ফোর্ড বিক্রির শীর্ষস্থানে রয়েছে।
ইউকের অর্থনীতিবিদ স্যামুয়েল টমব বলেন, যুক্তরাজ্যের পরিবারগুলোর আয় কমে যাওয়ায় চলতি বছরের সামনের দিনগুলোতে বিক্রি ধীরগতির থাকবে।
প্রসঙ্গত, আর্টিকেল ফিফটি অনুযায়ী ইইউ থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ কার্যকর হবে ২০১৯ সালের মার্চ শেষে। এজন্য ইইউ’র বাকি ২৭ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির অংশ হিসেবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ছাড় দিতে হবে ইইউকে। আর এটি নিয়ে ইউকে ও ইইউ’র মধ্যে আলোচনা চলছে। ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তায় ব্রিটেনের অর্থনীতি ধীরগতির।