নিজস্ব প্রতিবেদক: কিছুটা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল।
গতকাল সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটির শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিবিধ খাতের শেয়ার। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল ওষুধ ও রসায়ন এবং বিমা খাত।
অপরদিকে তৃতীয় দিনের মতো পাট খাতের শেয়ারদর কমেছে সবচেয়ে বেশি। আগের দুদিন খাতটি শেয়ারদর কমার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সেবা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৩টির দর বেড়েছে এবং ১টির অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ১৪টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬টির দর বেড়েছে এবং ৫টির কমেছে ও ৩টির অপরিবর্তিত ছিল। শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ওষুধ খাত তৃতীয় স্থানে ছিল। এ খাতে লেনদেনে ৩৪টি কোম্পানির মধ্যে ১২টি দর বেড়েছে এবং ২০টির অপরিবর্তিত ছিল। চতুর্থ স্থানে থাকা বিমা খাতে দর বেড়েছে দশমিক ৪০ শতাংশ। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, সিমেন্ট, আর্থিক, মিউচুয়াল ফান্ড, বস্ত্র এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধি বা কমার ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় পাট খাতে শেয়ারদর সবচেয় বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ। এরপর দর বেশি কমেছে ভ্রমণ খাতের শেয়ারে। খাতটিতে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে তৃতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাত।
গতকাল সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হওয়া জীবন বিমা খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা দশমিক ২২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২০৫ দশমিক ২৭ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৫৭ দশমিক ২৩ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৯৭ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে।
ডিএসইতে এদিন ৪৬২ কোটি ৫২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবস থেকে ১২৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৩৩৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার। ডিএসইতে ৩৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৬৬টির বা ১৯ দশমিক ৬৪ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ৯৬টির বা ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশের এবং ১৭৪টির বা ৫১ দশমিক ৭৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বা দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৩১ দশমিক ১৩ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৪৫টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪১টির দর বেড়েছে, কমেছে ৩৭টির ও ৬৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।