নিজস্ব প্রতিবেদক: আসছে বাজেটে সেবা খাতের উদ্যোগে নারীদের মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ১৫ থেকে চার শতাংশে নামিয়ে আনার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিডব্লিউসিসিআই)। গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব দেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সেলিমা আহমাদ। এনবিআর সদস্য (করনীতি) আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে এনবিআর সদস্য (শুল্ক নীতি ও আইটি) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া ও সদস্য (মূসক নীতি) মাসুদ সাদিক উপস্থিত ছিলেন।
আগামী বাজেটে নারীদের করমুক্ত আয়ের সীমা তিন লাখ ৫০ হাজার থেকে চার লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেন সেলিমা আহমাদ। মহামারির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর মওকুফের পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য প্রথম তিন বছর ভ্যাট ও ট্যাক্স মওকুফের সুপারিশও তিনি তুলে ধরেন।
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অন্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের আগামী অর্থবছরে ছয় মাসের রেয়াতকালসহ চার শতাংশ জামানতবিহীন ব্যাংকঋণ দেয়া। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণোদনা প্যাকেজ আগামী অর্থবছরেও চালু রাখার পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের পাঁচ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ ঋণ বরাদ্দ করা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। উইমেন চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সঙ্গীতা আহমেদ, পরিচালক সেলিনা কাদের ও প্রীতি চক্রবর্তী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
একই সময়ে এনবিআরের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা) তামাক পণ্যের সহজলভ্যতা হ্রাসে মূল্যস্ফীতি ও আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সংগতি রেখে তামাক পণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক নিয়মিত বাড়াতে সুপারিশ করে। আত্মার আহ্বায়ক লিটন হায়দারের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নেন যুগ্ম আহ্বায়ক নাদির কিরণ ও মিজান চৌধুরীসহ সদস্য দৌলত আক্তার মালা। আত্মার পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনটির সদস্য মনির হোসেন চৌধুরী।
মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর তামাক পণ্যের ওপর নিয়মিত শুল্ক বাড়ানোর সুপারিশ দিয়ে ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্য উৎপাদনকারীকে করজালের আওতায় আনার পরামর্শ রাখেন তিনি। এর আগে প্রাক বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে ইন্ডিয়া বাংলোদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ দেশে উৎপাদিত নানা প্রসাধনী পণ্যের ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক তুলে দেয়ার সুপারিশ করেন।
তিনি বলেন, ভারত থেকে কাঁচামালসহ প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে পরিবহন সমস্যায় পড়তে হয়। এজন্য তিনি পেট্রাপোল পর্যন্ত রেল সংযোগ দেয়ার সুপারিশ করেন।