সেমস ও বুয়েটের যৌথ সেমিনারে বক্তারা: কেমিক্যালের দুর্ঘটনাও পোশাক খাতের বড় হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বিভিন্ন কারখানায় ব্যবহত কেমিক্যালগুলোর যথাযথ ব্যবহার না হওয়ার কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে, যা ওই খাতের সুনাম নষ্ট করে। বিশেষ করে দেশের উন্নতম পোশাক খাতে এখন আন্তর্জাতিকভাবে বেশ নজরদারি করা হচ্ছে। ফলে এ খাতের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে  কেমিক্যাল ব্যবহারে সচেতনতার অভাব।

গতকাল ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) সেমস গ্লোবাল ও বুয়েটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘কেমিক্যাল সেফটি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট: বাংলাদেশ পারস্পেক্টিভ’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন বক্তারা।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান। এছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আবুল বশির মিয়াসহ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দেশে প্রচুর কেমিক্যাল পোশাকসহ অনেক খাতে ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু সেই তুলনায় সচেতনতার তৈরি হচ্ছে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের রফতানি ভাবমূর্তি। অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। যদিও কেমিক্যালের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে দেশের মানুষও হুমকি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক আয়োজক সংস্থা কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লি.-সেমস গ্লোবালের আয়োজনে ‘১৮তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৭’, ‘১২তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিকস শো-২০১৭’ এবং ‘২৮তম ডাই-ক্যাম বাংলাদেশ এক্সপো-২০১৭’ চলছে। আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত চলমান এ প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে গতকাল দুটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

বিকালে এ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং সেমস্রে আয়োজনে বাংলাদেশ পর্যটনবিষয়ক ফোরাম ‘২য় মাইসকন বাংলাদেশ ২০১৭’। মাইস ট্যুরিজম বিষয়ে বাংলাদেশে আয়োজিত এটি দ্বিতীয় ফোরাম। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

এদিকে চলমান সেমস’র আয়োজিত তৈরি পোশাক খাতের সর্ববৃহৎ এ প্রদর্শনীতে রয়েছে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টশিল্পের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিসহ সুতা ও কাপড় উৎপাদক মেশিনারিজ, ডায়েস এবং বিশেষ রাসায়নিক দ্রব্যের বিশাল সমাহার। বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রায় এক হাজার ১৫০টি প্রতিষ্ঠানের এক হাজার ৪০০টি স্টলের এসব পণ্য প্রদর্শন হচ্ছে।

সেমস্ গ্লোবাল ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠার পর হতে বিগত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বহুজাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে। বর্তমানে সংস্থাটি বিশ্বের ৮টি দেশে নিজস্ব অফিস পরিচালনা করছে। পাশাপাশি আরও ১০টি দেশে অ্যাসোসিয়েট শাখার মাধ্যমে প্রতিবছর ৪০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করছে।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০