শেয়ার বিজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভিয়েতনামের সঙ্গে সেমিকন্ডাক্টর তৈরি ও সরবরাহ শৃঙ্খল নিশ্চিত করার জন্য চুক্তি করেছেন। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে খনিজ সম্পদ ব্যবহারবিষয়ক চুক্তি হয়েছে। এছাড়া ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রকে নিজ দেশের সর্বোচ্চ কূটনৈতিক মর্যাদায় উন্নীত করেছে। খবর: আনাদোলু এজেন্সি।
যুক্তরাষ্ট্র এ কূটনৈতিক মর্যাদা বৃদ্ধির দাবি করে আসছিল। কারণ তারা মনে করছে, বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থা চীনের হাত থেকে সরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ভিয়েতনামের ভূমিকা হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলন শেষে দুই দিনের সফরে ভিয়েতনামে যান জো বাইডেন। তাকে স্বাগত জানাতে ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির উদ্যোগে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের ছাত্ররা মার্কিন পতাকা নেড়ে ও বেয়নেটযুক্ত রাইফেল কাঁধে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানায়।
জো বাইডেন বলেন, গত ৫০ বছরে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে অনেক চড়াই-উতরাই ছিল। যুদ্ধের পর সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণ ও সেখান থেকে এই নতুন উচ্চতায় ওঠা।
ভিয়েতনাম বিশ্বে স্বল্প খরচের উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। সে কারণে তারা বেইজিং ও ওয়াশিংটন-উভয়ের সঙ্গেই সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। তবে দুই দেশের সম্পর্ক ঠিক বন্ধুত্বসুলভ নয়, ভিয়েতনামকে এর মধ্য দিয়েই চলতে হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের পর আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ভিয়েতনাম সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ভিয়েতনামের কূটনীতিকেরা বলেছেন, ভিয়েতনাম সব পরাশক্তির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।
বাইডেন বলেছেন, সদ্য সমাপ্ত জি২০ সম্মেলনে তিনি চীনের নেতা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই আলোচনায় তাদের মধ্যে সম্পর্কের স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাইডেনের এ সফরে ভিয়েতনাম এয়ারলাইনস বোয়িংয়ের কাছ থেকে ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলারে ৫০টি ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান কেনার প্রাথমিক চুক্তি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর কাছেও ভিয়েতনাম গুরুত্বপূর্ণ, যার নিদর্শন হিসেবে গুগল, ইনটেল, আমকর, মারভেল, গ্লোবাল ফাউন্ড্রিস, বোয়িংয়ের শীর্ষস্থানীয় নির্বাহীরাও ভিয়েতনামে গেছেন। ভিয়েতনাম সরকারের প্রযুক্তিবিষয়ক কর্মকর্তা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সব আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে সেমিকন্ডাক্টর। তবে এ খাতে ভিয়েতনামে দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া বাইডেনের এ সফরে বিরল খনিজবিষয়ক চুক্তিও হতে পারে, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তেমন কিছু জানা যায়নি।