শোবিজ ডেস্ক: প্রাচ্যনাটের প্রযোজনার নাটক পুলসিরাত। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্ত মঞ্চে প্রদর্শিত হবে নাটকটি। ফিলিস্তিনি লেখক ঘাসান কানাফানির মেন ইন দ্য সান উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে নাটকটি। এর অনুবাদ করেছেন মাসুমুল আলম। নাট্যরূপ দিয়েছেন মনিরুল ইসলাম রুবেল। নির্দেশনায় রয়েছেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম, শাহরিয়ার সজিব, মনিরুল ইসলাম রুবেল, সাইফুল ইসলাম জার্নাল, চেতনা রহমান ভাষা প্রমুখ। এছাড়া সংগীত পরিকল্পনায় রয়েছে নীল কামরুল, আলোক পরিকল্পনায় বাবর খাদেম। এ গল্প প্রসঙ্গে নির্দেশক কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন বলেন, তিন বয়সের তিনজন মানুষ। আলাদা আলাদা উদ্দেশ নিয়ে ফিলিস্তিন থেকে কুয়েতে পাড়ি জমাতে চান তারা। মূলত সারা বিশ্বে মানব পাচারের বিষয়টি উপজীব্য নাটকটির গল্প। ভাগ্যান্বেষণের জন্য ফিলিস্তিন থেকে স্বপ্নের কুয়েতে পাড়ি জমাতে চান আবু কায়েস, আসাদ ও মারওয়ান। তিনজন আলাদা প্রজন্মের হলেও এক জায়গায় মিল তারা সবাই উদ্বাস্তু। আবু কায়েস দুই সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে বন্ধুর পরামর্শে সচ্ছল জীবনের আসায় কুয়েত পাড়ি দিতে চান। তার স্বপ্ন, সন্তানরা স্কুলে পড়াশোনা করবে। স্বভাবে বেশ সরলসোজা ও কিছুটা ভীতু স্বভাবের সে। তার ঠিক বিপরীত চরিত্রের আসাদ। বয়সে তরুণ। কিছুটা রাগী এবং বেশ চালাক। এর আগেও সীমান্ত পার হয়ে অবৈধ পথে কুয়েত যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। একদিকে উন্নত ভবিষ্যৎ ও চাচাতো বোনকে বিয়ে করার স্বপ্ন। আবার একই সঙ্গে চাচার অপমান তাকে যুগপৎ তাড়িত করে। অন্যদিকে ১৬ বছরের মারওয়ান স্কুলের পড়াশোনা ছেড়ে নিজের পরিবারের দায়িত্বের চাপে পাড়ি দিতে চান কুয়েতে। তার বড় ভাই কুয়েত থাকে। এক সময় পরিবারের জন্য টাকা পাঠালেও বিয়ে করে তা বন্ধ করে দেন। তার বাবা সন্তানদের ভরণপোষণে অপারগ হয়ে সচ্ছল জীবনের আশায় এক পঙ্গু মহিলাকে বিয়ে করে আলাদা হয়ে যান। তাই মারওয়ান পরিবারকে বাঁচাতে অর্থ উপার্জনের স্বপ্ন নিয়ে কুয়েত পাড়ি দিতে চান। একপর্যায়ে আগস্টের প্রচণ্ড গরমে, রোদে পুড়ে মরুভূমির পথে শুরু হয় তাদের যাত্রা। তিনটি হতভাগ্য বিড়ম্বিত জীবন ছুটে চলে স্বপ্নময় এক সচ্ছল জীবনের প্রত্যাশায়, ছুটে চলে এক পুলসিরাত। এভাবেই নাটকের গল্প এগিয়েছে।
