সেশনজটমুক্ত বিভাগের দাবিতে চবির প্রধান ফটকে তালা

প্রতিনিধি, চবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা সেশনজটমুক্ত বিভাগের দাবিতে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। গতকাল বুধবার প্রধান ফটকে তালা দেন তারা।

এ সময় বিভিন্ন ধরনের প্লেকার্ডে ‘স্পোর্টস সায়েন্সে জট কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘একাডেমি ক্যালেন্ডার চাই’, ‘বয়স গেলে শেষ হয়ে কী করব আর অনার্স করে’, ‘আমরা দিই ট্রফি, আপানরা দেন সেশনজট’ প্রভৃতি সেøাগান নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী প্রবিউল আলম পাশা বলেন, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই ডিপার্টমেন্টের যাত্রা শুরু হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত স্থায়ী কোনো শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। আমাদের পরীক্ষার পর রেজাল্ট পেতে এবং ক্লাস শুরুর জন্য আন্দোলন করতে হয়।

আমি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী, আমার ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শেষ করে ফাইনাল ইয়ার ক্লাস করেছে, কিন্তু আমি এখনও দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছি। আমাদের নির্দিষ্ট কোনো একাডেমিক ক্যালেন্ডার নেই। আমাদের চাওয়া শুধু একটাইÑসময়মতো পরীক্ষা নিয়ে আমাদের রেজাল্ট দিক।

এ বিষয়ে ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা একটি খেলাধুলা সম্পর্কিত বিশেষ ডিপার্টমেন্ট। এখানে খেলাধুলা হয়। এটা বাংলা বা ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের মতো নয়। বাংলাদেশের মাত্র তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি চালু হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় একটি। এ কারণে এই বিভাগের পর্যাপ্ত গ্র্যাজুয়েট নেই এবং যারা বের হয়েছে, তাদের শিক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক যোগ্যতায় ঘাটতি রয়েছে। এজন্য বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে সেশনজট দীর্ঘায়িত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের আর্থিক অনুদান না আসার কারণে আট বছরের মধ্যে আমরা নিজস্ব বিল্ডিং তৈরি করতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামে তাদের অস্থায়ীভাবে ক্লাস হয়। এখন আমরা স্থায়ী ভবন তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছি এবং শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ব্যবস্থা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা খুলে দেয়া এবং যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পদক্ষেপ জানতে চাইলে প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছি। আমরা তাদের আন্দোলন সমর্থন করি, আমরা নিজেরাও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চাই না। তারা দাবি করছে, ভিসি ম্যামের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবে। আমরা তাদের জানিয়েছি, ম্যামের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০