তৈয়ব আলী সরকার, নীলফামারী: বৃষ্টি নেই, বন্যা নেই তবুও রাস্তায় হাঁটুপানি। বাসাবাড়ির ব্যবহƒত পানিতে দিনের পর দিন তলিয়ে থাকছে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। কোথাও কোথাও বাড়ির আঙিনা ও ঘরে প্রবেশ করছে ড্রেনের ময়লা পানি। ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার না করায় বেড়েছে জটিলতা। শিশুরা স্কুলে আর মুসল্লিরা মসজিদে যেতে পারছে না। তার ওপর দীর্ঘ দিন থেকে জমে থাকা নোংরা ময়লাযুক্ত পানিতে গ্রীষ্মের তীব্র রোদে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে চারপাশের পরিবেশে দূষণ হচ্ছে।
এমন বেহাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায়। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিকরা আজ তৃতীয় শ্রেণির সেবা থেকেও বঞ্চিত। বছরের পর বছর এই অবস্থায় থাকলেও পৌর পরিষদ জনদুর্ভোগ লাঘবে কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় ক্রমে তা বেড়ে চলেছে। এলাকাবাসী বার বার দাবি ও ক্ষোভ জানিয়ে কোনো নজর নেই কর্তৃপক্ষের। গত তিন বছরে এই সমস্যা প্রকট হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
হাতিখানা রাজ্জাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কের বাসিন্দা ওয়াসিম আকরাম বলেন, এলাকায় রেলওয়ের জায়গা লিজ নিয়ে গড়ে ইকু হেরিটেজ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের পানি এ ড্রেনে পড়ায় সারা বছর রাস্তায় পানি জমে থাকছে। ড্রেনটি ক্যাম্পের ভেতর দিয়ে যে জমিতে গিয়ে পড়েছে সেখানে এখন বাড়ি করায় মালিক ড্রেনের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত ওই নোংরা পানি মাড়িয়ে অনেক কষ্টে চলাচল ও বসবাস করছে। এসব দেখার কেউ নেই।
ইকু হেরিটেজ হোটেল ও রিসোর্টের মালিক ইকু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শিল্পপতি আলহাজ সিদ্দিকুল আলম বলেন, এ ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছুই জানায়নি। এখন বিষয়টা জানলাম। ড্রেন পরিষ্কার করাসহ পানি নিষ্কাশন স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি জানান, দ্রুত মাসিক মিটিংয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে ড্রেন সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।