নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ইপিএস বেড়েছে ১০ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অনিরীক্ষিত প্রান্তিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, পাট খাতের কোম্পানি সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ পয়সা, যা এর আগের বছর একই সময়ে ১৯ পয়সা ছিল। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ১০ পয়সা। অন্যদিকে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) ২২৪ টাকা ৮৩ পয়সা দাঁড়িয়েছে, যা একই বছর ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে ২২৪ টাকা ৫৪ পয়সা ছিল। তিন মাসে এনএভি ২৯ পয়সা বেড়েছে। উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৫৯ পয়সা, এনএভি ছিল ২২৪ টাকা ৫৪ পয়সা এবং কার্যকরী নগদ অর্থের প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৬০ পয়সা, এনএভি ছিল ২২৩ টাকা ৯৫ পয়সা এবং এনওসিএফপিএস দাঁড়িয়েছে মাইনাস ২২ টাকা ৬৬ পয়সা।
গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের দিনের চেয়ে তিন দশমিক ৩১ শতাংশ বা ছয় টাকা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৪৭ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৮৯ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে ৩৩ হাজার ৮৩০টি শেয়ার মোট ৩২৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৬৫ লাখ চার হাজার টাকা। শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৮৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৯৭ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১১২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২১৮ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন দুই কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৮ কোটি দুই লাখ টাকা। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ১০ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। আলোচ্য সময়ে কর-পরবর্তী লোকসান করেছিল ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা আগের বছর মুনাফা ছিল ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০১৬) ইপিএস ছিল ৪০ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ২৬ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ১৪ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি ছিল ২২৪ টাকা ৮৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ২২৩ টাকা ৬৫ পয়সা। কোম্পানিটির ২৭ লাখ ১২ হাজার শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬১ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঁচ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩২ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার।