Print Date & Time : 26 June 2025 Thursday 12:14 am

সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজের ইপিএস বেড়েছে ৪৭ পয়সা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পাটশিল্প খাতের কোম্পানি সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৪৭ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৫৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল আট পয়সা। অর্থাৎ, প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ৪৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২৬ টাকা ৪৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ২২৫ টাকা ৯১ পয়সা। এ সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১২ টাকা ৭৯ পয়সা (লোকসান), আগের বছর ছিল চার টাকা ২০ পয়সা (লোকসান)।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর আট দশমিক ৭৩ শতাংশ বা ৩০ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৭৫ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৭৫ টাকা। ওইদিন কোম্পানিটির ২০ হাজার ৬৩৭ শেয়ার মোট ২৩৭ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৭৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৫৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৭৫ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ২৮৭ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৬৬৩ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।

৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা এক পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ২২৫ টাকা ৯১ পয়সা।

এর আগের বছর অর্থাৎ ৩০ জুন ২০১৮ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের সমান। ওই সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৭১ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ২২৫ টাকা ৯০ পয়সা। এটি আগের বছর ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৬৫ পয়সা ও ২২৫ টাকা ১৯ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী আয় করেছিল ৪৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ৪৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। 

পাটশিল্প খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন দুই কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৮ কোটি ৫৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ২৭ লাখ ১২ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫০ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক পাঁচ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার।