নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী মাস থেকেই এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়েছে ব্যাংকটি। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করে সেপ্টেম্বর থেকে এজেন্ট ব্যাংকিং শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সোনালী ব্যাংকে এক বছর দায়িত্ব পালন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। এ সময় আতাউর রহমান জানান, তথ্যপ্রযুক্তি বা আইটি খাত নিয়ে দ্রুত গতিতে কাজ করছে সোনালী ব্যাংক। করোনাকালে পাঁচ মাসে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে সোনালী ব্যাংক পাঁচ বছর এগিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি।
এ সময় ২০১৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে একটি আর্থিক চিত্র প্রকাশ করা হয় সোনালী ব্যাংকের। এরই মধ্যে ব্যাংকের এক হাজার ২২৪টি শাখায় অনলাইন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আতাউর হমান বলেন, ক্যাশলেস বা কাগজবিহীন অর্থের লেনদেন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড ও অ্যাপসভিত্তিক লেনদেন ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকে না গিয়েও যাতে গ্রাহক সব ধরনের লেনদেন ও সেবা পেতে পারে, আমরা সেই কার্যক্রম বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
এমডি বলেন, করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কাজ করছে এ ব্যাংক। শিল্প খাতে বরাদ্দের এক হাজার ৬২০ কোটি টাকার ৭২ শতাংশই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে এক হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। সরকারের ঘোষিত এক লাখ তিন হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে অন্যান্য ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি সোনালী ব্যাংক কাজ করছে।
আর্থিক তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, গত এক বছরে সোনালী ব্যাংকের শ্রেণিকৃত ঋণ এক হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা কমেছে। জুলাই শেষে সোনালী ব্যাংকের শ্রেণিকৃত ঋণ ছিল ১০ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। এ বছর জুলাই মাসের শেষে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে এক হাজার ১২০ কোটি টাকা, যা গত বছর একই সময় ছিল ৪৬৭ কোটি টাকা। ব্যাংকের আমানত এক লাখ ১২ হাজার ৩৬৭ কোটি থেকে এক লাখ ১৬ হাজার ৭৩৩ কোটিতে পৌঁছেছে। এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির লোকসানি শাখা ৫৮টি থেকে কমে ৫০টিতে নেমেছে। নতুন শাখা খোলা হয়েছে ১০টি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্যাংকের এমডি জানান, হলমার্ক কেলেঙ্কারির পর তেমন কোনো বড় অনিয়ম হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত হলমার্কের কাছ থেকে উল্লেখ করার মতো টাকা আদায় করা সম্ভব হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় এখন আদায় করা যাচ্ছে না।
রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক উপস্থিত ছিলেন।
