নজরুল ইসলাম: অস্তিত্বহীন গ্রাহকের নামে ঋণ বিতরণ দেখিয়ে ১১ কোটি ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৪ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সোনালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া শাখার ম্যানেজার ছিলেন। ওই শাখাতেই এ ঘটনা ঘটেছে।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১০ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সময়ে এসব টাকা ঋণ হিসেবে বিতরণ করা হয়। এসএমই ঋণ হিসেবে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮৬ হাজার ১৯৭ টাকা, সিসি (হাইপো) হিসেবে ১ কোটি ১৪ লাখ ৮১ হাজার ৮১২ টাকা, ক্ষুদ্র ব্যবসা ঋণ হিসেবে ১৮ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯ টাকা, কৃষি ও পল্লিঋণ ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ১৩৩ টাকা, ক্ষুদ্রঋণ (এমসিডি) ৭৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬৮৩ টাকাসহ মোট ১১ কোটি ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৪ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে।
মশিউর রহমান দায়িত্ব পালনকালে ব্যাংক বিধি লঙ্ঘন, ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এসব ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে তিনি অস্তিত্বহীন গ্রাহকের নামে ঋণ অনুমোদন দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। পরে সেটি তফসিলভুক্ত হওয়ায় দুদকের কাছে পাঠানো হয়।
দুদকের উপপরিচালক এস এম সাহিদুর রহমান ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ মামলাটি দায়ের করেন। দণ্ডবিধি ৪২০/৪০৬/৪০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। পরে সহকারী পরিচালক শিহাব সালামকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় দুদক কমিশন। আসামি মশিউর রহমানের বাড়ি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলায়। এজাহারে বলা হয়েছে, তদন্তকালে আরও কোনো তথ্য পেলে সেগুলো আমলে নেয়া হবে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, মামলা আসামি সংখ্যা বাড়তে পারে। তদন্তকালে আরও অনেকেই অভিযুক্ত হবে। তাদেরও আসামি করা হবে। তারপর চার্জশিট অনুমোদনের জন্য দুদক কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।