নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর নয়াবাজার। হাত বাড়ালেই মিলছে বন্ড সুবিধার পণ্য। বিশেষ করে কাগজ। বন্ড লাইসেন্সধারী এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা যোগসাজসে গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট। বছরের পর বছর এ সিন্ডিকেট অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধার অপব্যবহার প্রতিরোধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদেরভিত্তিতে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) নয়াবাজার জিন্দাবাহার লেন এলাকার চাঁন মিয়া পেপার মার্কেট ও নিকটস্থ গুদামসমূহে ঝটিকা অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রায় সোয়া কোটি টাকার অবৈধ বন্ডেড কাগজ আটক করা হয়। ঢাকা বন্ড কমিশনারেটের সহকারী কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মো. আল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপ-কমিশনার রেজভী আহমেদ, আমি (সহকারী কমিশনার মো. আল আমিন), শরীফ মোহাম্মদ ফয়সাল, মো. আকতার হোসেন যৌথভাবে অভিযানে নেতৃত্ব দেন। প্রায় শতাধিক কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় ভ্যাট অফিসের পাশাপাশি সিআইডি, ডিএমপি সদর দপ্তর ও স্থানীয় থানা পুলিশ অভিযানে সহায়তা করে। অভিযানের শুরুতেই অবৈধ বন্ডেড পণ্যের ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দোকান বন্ধ করে দেয়া, মার্কেটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়াসহ বিভিন্নভাবে অভিযানে বিঘ্ন সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ এবং নেতৃত্বস্থানীয়দের সহায়তার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে তল্লাশি করা হয়।

আল আমিন জানান, মোট তিনটি গুদাম থেকে অবৈধ বন্ডেড প্রায় ১০০ টন বিভিন্ন ধরনের কাগজ আটক করা হয়। এসব কাগজ বিভিন্ন বন্ডেড প্রতিষ্ঠান শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করে রপ্তানিতব্য পণ্য উৎপাদনে ব্যবহারের পরিবর্তে চোরাইপথে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটক পণ্যের বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আদায়যোগ্য শুল্ককর প্রায় ৭৫ লাখ টাকা। আটক পণ্যের বিপরীতে মূল হোতাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনার এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, অবৈধ সকল বন্ডেড পণ্যের ব্যবসার উৎস-মাধ্যম-গন্তব্য সবাইকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
###